বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: কয়েকদিন ধরে তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বঙ্গোপসাগরের পৃষ্ঠদেশ। চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যার বর্ধিতাংশ বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এই লঘুচাপ থেকেই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হবে ঘূর্ণিঝড়। যা পূর্ণ শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়তে পারে বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী এলাকায়। এই সুপার সাইক্লোনের নামকরণ করা হয়েছে ‘যশ’। এর গতিমুখ থাকবে বাংলাদেশের সুন্দরবন ও চট্টগ্রাম এলাকার দিকে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআই জানিয়েছে, এই মুহূর্তে বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি। দেশটির আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা, শক্তি বাড়িয়ে এই ঘূর্ণিঝড় গত বছরের আম্ফানের মতো সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে। আছড়ে পড়তে পারে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে। আপাতত ঘূর্ণিঝড়টির গতিবিধির দিকে খেয়াল রাখছেন আবহাওয়াবিদরা।
ভারতের আলিপুর আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এক সঙ্গে দু’টি নিম্নচাপ ঘনীভূত হচ্ছে, একটি বঙ্গোপসাগরে, আরেকটি আরব সাগরে । আগামী ২৩ থেকে ২৫ শে মে-র মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী এলাকায়। এই সুপার সাইক্লোনের নাম ‘যশ’।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আবর সাগরে এরইমধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়ে ভারতের গুজরাট উপকূল অতিক্রম করার পর্যায়ে রয়েছে। আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান জানান, আগামী পাঁচদিনের শেষের দিকে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে ভ্যাপসা গরমের মধ্যে মঙ্গলবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীতে দমকা হাওয়া ও বজ্রসহ ঝুম বৃষ্টি হয়েছে। দুই ঘণ্টায় ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়। সিলেটেও বৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে সিলেটে ৬৭ মিলিমিটার। তবে এদিন খুলনা, বরিশাল বিভাগসহ দেশের অনেক অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহও বয়ে গেছে।
বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ