বিএনএ বিশ্ব ডেস্ক: ফিলিস্তিনে বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। অব্যাহত বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ২২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে।ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে গাজার অসংখ্য পরিবার।মঙ্গলবার (১৮ মে) পশ্চিমতীরে ধর্মঘট পালনের সময় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ৪ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয় ৩৫ জন। একের পর এক হামলায় ভেঙে পড়েছে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।
এই অবস্থায় গাজায় জরুরি ত্রাণ সহায়তা পাঠাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।কিন্তু হামাসের রকেট হামলার অভিযোগ তুলে হঠাৎ সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। ফলে গাজায় ত্রাণবাহী যানবাহন প্রবেশ পারছে না। এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো।
সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানায়, সীমান্তে ফিলিস্তিনের জন্য পাঠানো বিভিন্ন দেশের ত্রাণ আটকে দিয়েছে ইসরায়েল।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়ে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি কো-অর্ডিনেটর অব গভর্নমেন্ট অ্যাক্টিভিটিজ ইন দ্য টেরিটোরিজ (কোগাট) মঙ্গলবার গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য সাময়িকভাবে কারেম আবু সালেম সীমান্ত খোলার ঘোষণা দেয়। এরপর সেখান দিয়ে ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ শুরু করে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই মর্টার হামলায় এক ইসরায়েলি সেনা সামান্য আহত হওয়ার কথা জানিয়ে সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা দেয় কোগাট।
নরওয়ের রিফিউজি কাউন্সিলের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মিডিয়া উপদেষ্টা কার্ল স্কেমব্রি আল জাজিরাকে জানান, গাজায় এখন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি জরুরি মানবিক সহায়তা দরকার।সেজন্য সীমান্তগুলো খোলা রাখতে হবে। কিন্তু কারেম আবু সালেম ও বেইত হ্যানুন ক্রসিং বন্ধ থাকলে গাজার পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। আর মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য অস্ত্রবিরতিও দরকার।
এক বিবৃতিতে কোগাট বলেছে, কারেম সালেম ক্রসিংয়ের দিকে মর্টার বোমা হামলার পর বাকি ট্রাকগুলোর প্রবেশ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ইহুদীবাদী ইসরায়েলের বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় অন্তত ২২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দেড় হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি । এর মধ্যে অন্তত একশ শিশু ও নারী আছে। আর ইসরায়েল দাবি করেছে, হামাসের রকেট হামলায় দুই শিশুসহ ১০ ইসরায়েলির মৃত্যু হয়েছে।
বিএনএনিউজ/আরকেসি