বিএনএ, ঢাকা: আজ ১৯ এপ্রিল বিশ্ব যকৃৎ দিবস। লিভারের রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে দিবসটি প্রতি বছর পালিত হয়। লিভার বা যকৃৎ আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ এবং এটি ভালো থাকা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য, ‘খাদ্যই ঔষধ’।
কীভাবে সুষম পুষ্টি লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারে এবার সেটা উদযাপন করা হচ্ছে। ফলমূল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি সুষম খাদ্য রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং লিভারের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সুস্থ যকৃৎ বা লিভার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এর অসুস্থতার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা প্রয়োজন। এজন্য প্রতি বছর ১৯ এপ্রিল বিশ্ব যকৃৎ দিবস পালিত হয়।
মানুষের শরীরের দেহত্বকের পরে, যকৃৎ হল দ্বিতীয় বৃহত্তম অঙ্গ এবং মস্তিষ্কের পরে, এটি সবচেয়ে জটিল অঙ্গ। যকৃৎ আমাদের শরীরের সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকে। এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির যেকোনো ত্রুটি উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্যগত উদ্বেগের কারণ হতে পারে। ফলস্বরূপ, হেপাটাইটিস, লিভার সিরোসিস এবং ক্যান্সারসহ বড় ধরনের অসুস্থতা এড়াতে আমাদের লিভারের যথাযথ যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যকৃৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, হজম, বিপাক, পুষ্টি সঞ্চয়, রেচন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্রিয়াকলাপের জন্য দায়ী। আমাদের দেহের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য যকৃৎ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এটি পিত্ত নিঃসরণ করে, একটি হজম তরল যা লিপিড হজমে সহায়তা করে। রক্ত জমাট বাঁধাও লিভার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, যা একটি অপরিহার্য কাজ। এটি রক্ত সঞ্চালন থেকে ওষুধ এবং অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে সহায়তা করে।
রোগজীবাণু নির্মূল করে, যকৃৎ শরীরকে অসুস্থতা থেকে রক্ষা করে। এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির সুস্থতা বজায় রাখার জন্য এবং উপযুক্ত সচেতন হওয়ার জন্য প্রচার এবং ব্যবস্থা গ্রহণই বিশ্ব যকৃৎ দিবসের উদ্দেশ্য।
বিএনএনিউজ/ বিএম/শাম্মী
