বিএনএ, ঢাকা : করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রতিদিন বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা, বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি হয়েছে ৮৮জন। একে পর এক অ্যাম্বলেন্স আসছে রোগী নিয়ে।
হাসপাতাল সূত্র জানা গেছে, সকাল ৮টায় করোনা রোগী ভর্তি শুরু থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রোগী ভর্তি হয়েছে ৮৮জন। নতুন হাসপাতাল এবং সুযোগ সুবিদা ভাল ভাবে পাওয়ার আশায় হঠাৎ করে রোগী চাপ বেড়েছে। ৮৮জন করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে আইসিইউতে রাখা হয়েছে ১৪জনকে । যারা এখানে ভর্তি হয়েছেন তারা বেশির ভাগই বয়স্ক রোগী। ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গ হলে রোগীদের জন্য ২০০টি আইসিইউ, ২১২টি এইচডিইউ ও ৫৪০টি আইসোলোটেড হাই কেয়ার রুম থাকবে। ৫০০ জনেরও বেশি করোনা রোগীকে একসঙ্গে উচ্চ-প্রবাহের অক্সিজেন সরবরাহ করা যাবে।
নব হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, এই হাসপাতালটি শুরু করা পর থেকেই প্রতিমুহূর্র্তে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ঢাকার বাইরে থেকে ৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে রোগী এসে এখানে ভর্তি হয়েছে। রোগীদেরকে সঠিক ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি চিকিৎসা সেবায় কোনো ক্রটি হবে না। এ মাসের মধ্যে এক হাজার শয্যাই আমরা চালু করা জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি।
উল্লেখ্য, মহাখালী ডিএনসিসি এক লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট আয়তনের এই হাসপাতাল চালু করা হলো। এতদিন ওই খানে করোনা আইসোলেশন সেন্টার এবং বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার ল্যাব হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এখন করোনা হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হলেও পৃথকভাবে ওই সেবা কার্যক্রমগুলো চলবে বলেও জানান পরিচালক।
বিএনএনিউজ/ আজিজুল/ এইচ.এম।