বিএনএ,চট্টগ্রাম: সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ২২ এপ্রিল থেকে চট্টগ্রামে দোকানপাট, শপিংমল স্বাভাবিক নিয়মে খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ছালেহ আহমেদ সোলেমান এ দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে ব্যবসায়ী নেতা ছালেহ আহমেদ সোলেমান বলেন, চট্টগ্রামে আমাদের সংগঠনের অধীনে ৩ লাখ ক্ষুদ্র মাঝারি ব্যবসায়ী ও ২০ লাখ শ্রমিক কর্মচারী রয়েছে। গত বছর করোনার কারণে সরকারে দেয়া লকডাউন পালন করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। এ বছর আবার করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকলে ৫ এপ্রিল থেকে সরকার এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করে। পরে আবার ১৪ এপ্রিল থেকে আরো এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে। ফলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম হতাশা নেমে আসে। কারণ আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে গত বছরের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে নতুন করে পুঁজি বিনিয়োগ ও উচ্চহারে লোন নিয়ে ব্যবসা করার প্রস্তুতি নিয়েছে সবাই।
তিনি বলেন, করোনায় দীর্ঘদিন ব্যবসা করতে না পারার পরও ব্যবসায়ীরা সরকারি ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট ইনকাম ট্যাক্সসহ যাবতীয় ফি দিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে। আর লকডাউনের কারণে যদি ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে না পারে তাহলে অনেকে দেউলিয়া হয়ে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেবে, কর্মচারীরা তাদের চাকরি হারাবে। তাই আমরা প্রধামন্ত্রীর কাছে দোকান খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
ব্যবসায়ীদের দাবিগুলো হল- চট্টগ্রামের লাখ লাখ ব্যবসায়ী ও শ্রমিক কর্মচারীদের জীবিকার স্বার্থে স্বাভাবিক নিয়মে আগামী ২২ এপ্রিল থেকে মার্কেটসমূহ খুলে দেওয়া। দোকান পরিচালনার সাথে সংশ্লিষ্ট খরচ ও কর্মচারী, শ্রমিকদের বেতন বোনাস বাবদ খরচ নির্বাহের জন্য ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণের আওতায় আনা। ক্ষুদ্র মাঝারি ব্যবসায়ীদের বাঁচিয়ে রাখতে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা থেকে বৃহত্তর চট্টগ্রামের জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা। দোকান মালিক, কর্মচারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় আনা। করোনাকালীন ক্ষতির কথা বিবেচনা করে, সরকারি বিভিন্ন ফি যেমন ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট, ট্যাক্স মওকুফ ও অতিরিক্ত ফি কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে আনা এবং প্রদান প্রক্রিয়া সহজীকরণ করা।
বিএনএনিউজ/মনির
