28 C
আবহাওয়া
১১:১৬ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বাঁশখালী বিদ্যুৎ কেন্দ্র : ৫ শ্রমিকের মরদেহ পেল স্বজনরা

বাঁশখালী বিদ্যুৎ কেন্দ্র : ৫ শ্রমিকের মরদেহ পেল স্বজনরা

বাঁশখালী বিদ্যুৎ কেন্দ্র : ৫ শ্রমিকের মরদেহ পেল স্বজনরা

বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গণ্ডামারায় পুলিশের গুলিতে নিহত ৫ শ্রমিকের মরদেহ তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৪ টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া। তিনি জানান, ৫ শ্রমিকের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জের ফারুক আহমদের ছেলে মাহমুদ হাসান রাহাত (২২), চুয়াডাঙ্গার অলিউল্লাহর ছেলে মো. রনি হোসেন (২৩), নোয়াখালীর আব্দুল মতিনের ছেলে মো. রায়হান (১৯), চাঁদপুরের মো. নজরুলের ছেলে মো. শুভ (২২) এবং বাঁশখালীর পূর্ব বড়ঘোনার আবু ছিদ্দিকির ছেলে মাহমুদ রেজা (১৯)।

এরআগে গত ১৭ এপ্রিল সকালে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নের পূর্ব বড়ঘোনা এলাকায় নির্মাণাধীন ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশের গুলিতে অন্তত পাঁচ শ্রমিক নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ২০-২১ জন, যাদের মধ্যে পুলিশ ও শ্রমিক আছেন।

এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা ২টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশ ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল ওই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পক্ষে-বিপক্ষের লোকজন ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিতে দুই ভাইসহ চারজন নিহত হয়েছিল। এ ঘটনায় আহত হয়েছিল ১১ পুলিশসহ অন্তত ১৯ জন। সেখানে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল স্থানীয়দের একটি পক্ষ। ১ হাজার ২২৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য এসএস পাওয়ার লিমিটেড ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মধ্যে চুক্তি হওয়ার পর তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছিল।

এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন এসএস পাওয়ার লিমিটেড ও চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান যৌথ উদ্যোগে ২৫০ কোটি ডলার ব্যয়ে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন করা হচ্ছে। ওই বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎ ভবনে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছিল, বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য গণ্ডামারা এলাকায় প্রায় ৬০০ একর জমি কেনা হয়েছে।

এই প্রকল্পের ৭০ শতাংশের মালিকানা থাকবে এস আলম গ্রুপের ছয়টি প্রতিষ্ঠানের। অবশিষ্ট ৩০ শতাংশের মধ্যে সেপকো ২০ শতাংশ এবং চীনের অপর প্রতিষ্ঠান এইচটিজি ১০ শতাংশের মালিক হবে। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর কেন্দ্রটিতে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনও উৎপাদনে যেতে পারেনি তারা।

বিএনএনিউজ/মনির

Loading


শিরোনাম বিএনএ