বিএনএ, ঢাকা : ঢাকার খিলক্ষেতে মঙ্গলবার মধ্যরাতে ধর্ষণের অভিযোগে যে গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, তাতে এখন পর্যন্ত দুইটি মামলা হয়েছে এবং পৃথক এই দুই মামলায় মোট তিনজনকে গ্রেপ্তারর করা হয়েছে।
খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন আজ বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে এই তথ্য জানান।
জানা যায়, খিলক্ষেতের মধ্যপাড়া এলাকায় ধর্ষণের অভিযোগে এক কিশোরকে মারপিট করছিলেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। খবর পেয়ে অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসছিলো পুলিশ। কিন্তু থানায় নেওয়ার পথে স্থানীয় অনেক মানুষ একত্রিত হয়ে ওই কিশোরকে ছিনিয়ে নিয়ে ফের মারধর করে। সেইসাথে, তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙে। এই ঘটনায় অভিযুক্তের পাশাপাশি অনেক পুলিশ সদস্যও আহত হন।
এই পুরো ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোর গুরুতর আহত হলে তাকে রাতেই, আনুমানিক একটার দিকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ার আজ বুধবার ভোরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে ছয় বছরের একটি মেয়ে শিশুকে ধর্ষণ করেছে। শিশুটিকেও প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। পরে তাকেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
খিলক্ষেত ওসি কামাল হোসেন জানান, গতকালকের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে মেয়ে শিশুটির বাবা। আর অভিযুক্তকে থানায় নিয়ে আসার সময় পুলিশের গায়ে হাত তোলার কারণে পুলিশও বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা করেছে।
“অভিযুক্ত আমাদের সাথে ছিল, সে ধর্ষণ মামলার আসামি। বাকি দুইজন পুলিশের গায়ে আঘাতের আসামি” জানিয়ে তিনি বলেন, এই ঘটনায় সাত জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।