বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে যুবলীগ কর্মীকে অপহরণ করে ওয়ার্ড অফিসে নিয়ে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগে করা মামলায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনুর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সরকার হাসান শাহরিয়ার এ আদেশ দেন। এসময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন৷
এছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- কায়সার হামিদ (৩৫), সাকিবুল ইসলাম (৩০), রবিউল ইসলাম রাজু (৩০), মো. আজম (২৪) ও মো. শাকিল (২৪)সহ অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১৫ জন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) প্রসিকিউশন শাখার পরিদর্শক মোহাম্মদ আবু তাহের বলেন, এক যুবককে তুলে নিয়ে ওয়ার্ড কার্যালয়ে বেধড়ক মারধর ও হত্যার হুমকির ঘটনায় পাঁচলাইশ থানায় দায়ের হওয়া মামলাটির প্রধান আসামি টিনু। আজ (মঙ্গলবার) তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। তবে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, প্রায়ই আসামিরা বাদিকে পূর্বের বিরোধের জের ধরে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিতো। গত ৩ মার্চ রাত ৮টার দিকে তিনি তার ফার্মেসি ‘একুশে ড্রাগ হাউস’ এ পেশাগত কাজ করছিলেন। এসময় তার বন্ধুর মুঠোফোনে কল দিয়ে কাউন্সিলর টিনু তার সাথে কথা বলে এবং তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। আধঘণ্টা পর ১০ থেকে ১৫ জন লোক এসে ছুরির ভয় দেখিয়ে তাকে অপহরণ করে এবং তার পকেটে থাকা ১৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে মামলার অন্যান্য আসামিরা তাকে জোরপূর্বক কাউন্সিলর কার্যালয়ে নিয়ে যান। এসময় অপহরণ ও মারধরের ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণে মারার হুমকি দেন কাউন্সিলর টিনু।
উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ রাতে মেহেদী হাসান রাকিব নামে ওই যুবলীগ কর্মী কাউন্সিলর টিনুর দ্বারা চকবাজার ওয়ার্ড কার্যালয়ে মারধরের শিকার হলে কাউন্সিলরসহ ছয় জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়। রাকিব আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য নুরুল আজিম রনির অনুসারী।
বিএনএ/এমএফ/এইচমুন্নী