বিএনএ প্রতিবেদক: সরকারি গুদামে নকল সার খালাসের চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ দিন সার পরিবহন সিন্ডিকেট কারখানা থেকে আসল সার নিয়ে নকল সার বাফার গুদামে বুঝিয়ে দিচ্ছে। এর সঙ্গে গুদাম ইনচার্জও জড়িত। কিছুদিন আগেও আশুগঞ্জ বাপার গুদামে এ ধরনের একটি চালান ধরা পড়ে। পরে গুদাম ইনচার্জকে ম্যানেজ করে সার খালাস হয় বলে সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের পতেংগা টিএসপি সার কারখানা থেকে ট্রাকে করে নিয়ে সেসব সার যশোর বাফার গুদামে খালাস করার কথা ছিল। পাঁচ ট্রাক সরকারি সার যশোর বাফার গুদামে পাঠানো হয়। পথে সেই টিএসপি পরিবর্তন করে নকল সার বোঝাই করা হয় ট্রাকে। সারের বস্তা দেখে যশোর বাফার গুদামের ইনচার্জের সন্দেহ হয়। তখন তিনি খালাস বন্ধ করে দেন। তাৎক্ষণিক বিষয়টি টিএসপি কর্তৃপক্ষসহ ঊর্ধ্বতনকে লিখিতভাবে জানানো হয়।
এদিকে ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড ( ডিএপিএফসিএল) থেকে চট্টগ্রামের মাঝিরঘাটস্থ সৈয়দ এন্টারপ্রাইজ ৭টি ট্রাকে ৮৫ টন সার যশোর বাফার গুদামে পাঠায়। ৬টি গুদামে পৌঁছালেও ১টি গাড়ি এখনো পৌঁছেনি। ধারণা করা হচ্ছে এসব ট্রাকের বস্তাগুলো থেকেও সার নামিয়ে ফেলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ডিএপিএসসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি (বিএনএ) কে জানান , ‘এসপি সার ভেজালের বিষয়টি জানার পর তিনি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটি যশোর বাফার গুদামে পাঠানো সার পরীক্ষা করে দেখবেন। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনবেন।
টিএসপি সারকারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউল রহমান বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সিকে জানান, আটক ট্রাকগুলোর সার পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিএনএনিউজ/ ওয়াইএইচ/ এমএইচ