31.3 C
আবহাওয়া
১:৫১ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বিভিন্ন দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন ইবি কর্মকর্তারা

বিভিন্ন দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন ইবি কর্মকর্তারা

ইবির ভর্তি পরীক্ষার সাক্ষাৎকারের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

বিএনএ, ইবি: পদ অনুযায়ী বেতন স্কেল প্রদান, চাকরির বয়স ৬২ বছর পর্যন্ত বাস্তবায়ন ও কর্মঘণ্টা ৫ দিনের পরিবর্তে ৬ দিনে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চালু করণের দাবি জানিয়ে কর্মবিরতির কর্মসূচি পালন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তারা। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ কর্মবিরতি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত কর্মকর্তাগণ।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্লাস, পরীক্ষা এবং কর্মকর্তাদের দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনায় সপ্তাহে ৫ কর্মদিবসে সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কর্মঘণ্টা নির্ধারণ করা হলেও অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দুপুর ২টা পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম সেরে চলে যান কিন্তু সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অফিস করতে হয় কর্মকর্তাদের। এজন্য কর্মকর্তারা এ কর্মঘণ্টাকে ঠিক রেখে ৫ কর্মদিবসের পরিবর্তে ৬ কর্মদিবস করে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কর্মদিবস করতে হবে।

দেশের সনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কর্মরত কর্মকর্তাদের চাকরির বয়স ৬২ থেকে ৬৫ বছর পর্যন্ত চালু রয়েছে। আমাদের এখানে যেটা এখনো ৬০ বছরেরই থেকে গেছে। শিক্ষামন্ত্রণালয়, ইউজিসি থেকে চিঠি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও এসেছে এবং সেটা সিন্ডিকেটে ৬২ বছর করণ পাসও হয়েছে কিন্তু সেটা বিগত প্রশাসন বাস্তবায়ন স্থগিত করে দেন। এর ফলে আমাদের চাকরির বয়সের মেয়াদ ৬২ বছর হয়েও তা বাস্তবায়ন আটকিয়ে আছে। বর্তমান প্রশাসন বিষটি বিবেচনায় নিয়ে ৬২ বছর পর্যন্ত চাকরির বয়সসীমা বাস্তবায়ন করতে হবে।

পদ অনুযায়ী বেতন স্কল প্রদানের বিষয়ে তারা বলেন, বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ইতোপূর্বে ব্যক্তিগত স্কেল গ্রেড প্রদানের ফলে বর্তমানে এক পদের কর্মকর্তারা সহকারী রেজিস্ট্রার/সমমান এবং উপ-রেজিস্ট্রার/সমমান ভিন্ন ভিন্ন বেতন স্কেল/গ্রেড প্রাপ্য হচ্ছেন। যেমন- কোনো সহকারী রেজিস্ট্রার/সমমানের কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়ে ২৯ হাজার -৬৩ হাজার ৪১০ টাকার স্কেল (৭ম গ্রেড) পাচ্ছেন। আবার কোনো সহকারী রেজিস্ট্রার/সমমানের কর্মকর্তা ব্যক্তিগত স্কেল পেয়ে একই পদে ৩৫ হাজার ৫০০-৬৭ হাজার ১০ টাকার স্কেল (৬ষ্ঠ গ্রেড) পাচ্ছেন। একইভাবে কোন ডেপুটি রেজিস্ট্রার/সমমানের কর্মকর্তা ৪৩ হাজার- ৬৯ হাজার ৮৫০ টাকার স্কেল (৫ম গ্রেড) এবং কোনো ডেপুটি রেজিস্ট্রার/সমমানের কর্মকর্তা ব্যক্তিগত স্কেল পেয়ে একই পদে ৫০ হাজার-৭১ হাজার ২০০ টাকার স্কেল (৪র্থ গ্রেড) পাচ্ছেন। এ কারণে বর্তমানে একই পদে কর্মরত কর্মকর্তাদের বেতন স্কেলে/গ্রেডে বেতন বৈষম্য বা অসংগতি সৃষ্টি হওয়ায় ঢাবির মত আমাদেরকেও সহকারী রেজিস্ট্রার/সমমানের পদের বর্তমান বেতন স্কেল ৭ম গ্রেডের পরিবর্তে ৬ষ্ঠ গ্রেড এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার/সমমানের পদের বর্তমান বেতন স্কেল ৫ম গ্রেডের পরিবর্তে স্কেল ৪র্থ গ্রেডে করতে হবে।

এ বিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল ইসলাম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই আমরা ছাত্রদের জন্য। ছাত্রদের স্বার্থ ঠিক রেখে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রেখে ছাত্রদের স্বার্থ কোনো কিছুই সংরক্ষিত হচ্ছে না। অথচ কতগুলো কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আর চাকরির বয়স সীমার ক্ষেত্রে নতুন করে ৬২ বছর করতে হবে না, সিন্ডিকেটে তা করাই আছে শুধু বাস্তবায়ন করতে হবে। পূর্বের প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছিল, এখন স্থগিতাদেশ তুলে দিতে হবে। বেতন স্কেলের ক্ষেত্রে সরকারি সিদ্ধান্ত পরিপন্থী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এটা আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় বেতন স্কেল চাচ্ছি। আমাদের দাবি গুলো আমরা স্মারক লিপির মাধ্যমে উপাচার্যকে জানিয়েছি। উপাচার্য আমাদের বলেছেন তিনি বিষয়টি পর্যালোচনা করবেন।

কর্মবিরতি পালনের ব্যাপারে তিনি বলেন, যেহেতু আমরা দাবি জানিয়েছি তিনি দেখবেন বলেছেন; তার মানে কোনো ফলাফল আমরা পায়নি সুতরাং যতদিন পর্যন্ত দাবি আদায় হচ্ছে না আমাদের কর্মবিরতি পালন অব্যাহত থাকবে।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, “কর্মকর্তাদের বেতন স্কেলের বিষয়ে সরকারি আইন কানুন কি আছে এটা আমাদের দেখতে হবে। কর্মঘণ্টা কমানোর দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো ছাত্র ও শিক্ষকদের জন্য, আমরা কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রশাসন শুধুমাত্র সহায়তাকারী। এজন্য এবিষয়ে আমরা সকল স্টেক হোল্ডারদের মতামত নিয়ে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিবো।”

বিএনএ/তারিক, এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ