বিএনএ, ডেস্ক :গত বছর সূচকে ১৬২ তম হলেও এবার এক ধাপ পেছাল বাংলাদেশ ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৩তম। ফ্রান্স ভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের ২০২৩ সালের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।তুলনামূলকভাবে এগিয়ে আছে আফগানিস্তান-পাকিস্তানের মতো দেশও।
এবার দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ৯০তম হয়ে সবার ওপরে আছে ভুটান। এছাড়া নেপাল ৯৫, মালদ্বীপ ১০০, শ্রীলঙ্কা ১৩৫, পাকিস্তান ১৫০, আফগানিস্তান ১৫২ ও ভারতের ১৬১তম অবস্থানে আছে এ তালিকায়।
এ বছর বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বরাবরের মতো সবার ওপরে নরওয়ে। দেশটি সাত বছর ধরে একই অবস্থানে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে আয়ারল্যান্ড এবং তৃতীয়তে ডেনমার্ক। এই সূচকে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ৪৫তম। ১৭৮, ১৭৯ ও ১৮০তম হয়ে তলানিতে আছে ভিয়েতনাম, চীন ও উত্তর কোরিয়া এবং এই তিনটি দেশই এশিয়ার।
প্রতিবছর গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে দেশগুলোর অবস্থানের পরিবর্তন দেখা যায়। এর কারণ হলো, দেশগুলোর সরকার গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কড়াকড়ি আরোপ করে থাকে। এমনকি সরকারিভাবে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি ক্রমবর্ধমান বিদ্বেষ তৈরি করা হয়।
প্রসঙ্গত, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স আন্তর্জাতিক অলাভজনক এবং বেসরকারি সংস্থা যা তথ্যের স্বাধীনতার অধিকার রক্ষার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৷ এটি মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণার ১৯ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করে ও সীমান্ত ছাড়িয়ে তথ্য সংগ্রহের অধিকারকে সমর্থন করে। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচক তৈরিতে আরএসএফ মূলত ৫টি বিষয় বিবেচনায় নেয়। সেগুলো হলো- রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, আইনি অবকাঠামো, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট ও নিরাপত্তা।
বিএনএ/ ওজি