বিএনএ,ঢাকা:জুনের মধ্যে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।এই ইস্যুতে বাংলাদেশ,চীন ও মায়ানমার একমত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার(১৯ জানুয়ারি)ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষে মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের আরও বলেন,ইতোপূর্বে যেহেতু দুইটা ডেট দিয়ে সফল হওয়া যায়নি।এখন সেগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে কীভাবে সফল হওয়া যায়,সেই চেষ্টাই থাকবে।এখন অনেক ফ্যাক্টরস আছে,এসবগুলো মাথায় রেখে,বাংলাদেশ সিনসিয়ারলি এঙ্গেজড থাকবে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন,দ্বিপক্ষীয় যে চুক্তি আছে,তা যদি অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়,সেখানে ১০ লাখের বেশিমানুষকে নিয়ে যেতে বছরের পর বছর লেগে যাবে।গত তিন বছরে ৯০ হাজার নতুন বাচ্চাও জন্মগ্রহণ করেছে।সুতরাং এই টোটাল নম্বরটা বাড়তে থাকবে,অনেক জটিলতা আসতে থাকবে।তাই দ্রুত রোহিঙ্গা দ্রুত শুরু করাটা বিকল্প নেই।
বৈঠকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন,ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিংটা হবে।সেটার ব্যাপ্তিও কিছুটা বাড়বে।আগে ডিজি লেভেলের সঙ্গে চীন ও মায়ানমারের রাষ্ট্রদূত থাকতেন।এটাকে বড় করে মায়ানমারের নে পি দোতে ডিজি আছেন এবং বেইজিংয়ে ফরেন মিনিস্ট্রিতে যে যে ডিজি আছেন,তারাও এতে সংযুক্ত হবেন।
দুই দেশের ডিজিদের মধ্যে একটা হটলাইন চালু হবে জানিয়ে তিনি বলেন,যত দ্রুত সম্ভব এটি করা হবে। যাতে করে যে কোনো ধরনের ছোটোখাটো চ্যালেঞ্জ থাকলে,তারা নিজেরা কথা বলে ঠিক করে নিতে পারেন।
ছয় দফায় মোট ৮ লাখ জন রোহিঙ্গার তালিকা মায়ানমারের কাছে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ সরকার,যার মধ্যে ৪২ হাজারের ভেরিফিকেশন করেছে মায়ানমার।এ বিষয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন,ভেরিফিকেশেনর যে ইস্যুটা আছে,সেটি ত্বরান্বিত করতে বলা হয়েছে।এটি সাইড বাই সাইড চলতে থাকে।
গ্রাম বা অঞ্চলভিত্তিক প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে প্রস্তাব দেয়ার কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, শেষের দিকে একটা ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিংয়ে পাইলট আকারে করার কথা ছিল।এর ভিত্তিতে গ্রামভিত্তিক বা এলাকাভিত্তিক ব্যাচের আলোকে প্রত্যাবাসন শুরু করতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে।যদিও প্রস্তাবে তাদের দিক থেকে কিছুটা ভিন্নতা হয়ত থাকতে পারে।তারা বলেছে যে নমনীয়তা দেখাবে।
মাসুদ বিন মোমেন জানান,বাংলাদেশ বছরের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়।রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে অন্য কোনো দেশ বা জোট এলে চীনের আপত্তি নেই।রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধ দমনে এ বছরের মাঝামাঝিতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শেষ হবে বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।
ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে দেড় ঘণ্টা ধরে সচিব পর্যায়ের এই বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মাসুদ বিন মোমেন।চীনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুও জাওহুইয়ের সভাপতিত্বে বৈঠকে মায়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা উপমন্ত্রী হাউ দো সুয়ান।
বিএনএনিউজ/আরকেসি