বিএনএ, আদালত প্রতিবেদক : সোনা চোরাচালানের মাধ্যমে দোকান কর্মচারী থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে করা মাদক মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মালেক মিয়া প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ প্রতিবেদন দাখিলের এ তারিখ ঠিক করেন।
এর আগে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর দুই দফায় পাঁচ মামলায় ২৭ দিনের রিমান্ড শেষে গোল্ডেন মনিরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য,২০২০ সালের ২০ নভেম্বর গভীর রাতে মনিরের বাড্ডার বনশ্রীর বাড়ি ঘিরে রাখে র্যাব। পরে শনিবার দুপুর পর্যন্ত টানা আট ঘণ্টার অভিযান শেষে ওই বাসা থেকে ৬০০ ভরি সোনার গহনা, বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, ১০ দেশের বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ এক কোটি নয় লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় দুই শতাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক গোল্ডেন মনির। রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে অসংখ্য প্লট হাতিয়ে নেন তিনি। তবে প্রাথমিকভাবে ৩০টি প্লট ও ফ্ল্যাটের কথা স্বীকার করেছেন মনির। জব্দ করা হয়েছে ২টি বিলাসবহুল গাড়ি। যার প্রতিটির মূল্য ৩ কোটি টাকা।সে দীর্ঘ দিন সোনা চোরাচালানের সাথে যুক্ত ছিলো।ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় অস্ত্র, বিশেষ ক্ষমতা এবং মাদক আইনের পৃথক তিন মামলা করা হয়।
বিএনএ নিউজ/এসবি, জেবি