21 C
আবহাওয়া
১:২৯ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দণ্ডিতদের সঙ্গে বামরা কীভাবে মিলে যায়?

দণ্ডিতদের সঙ্গে বামরা কীভাবে মিলে যায়?

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে দেশ: প্রধানমন্ত্রী

বিএনএ ডেস্ক: আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাম দলগুলোর কর্মসূচি দেয়ার সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, রাজাকারের দোসর, খুনি, দণ্ডিত আসামিদের সঙ্গে বামরা কীভাবে মিলে যায়?

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বিএনপি সম্প্রতি সরকারবিরোধী আন্দোলনে যুগপৎ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। এক্ষেত্রে বিএনপি যে দিন যে ধরনের কর্মসূচি পালন করবে, তাদের আন্দোলনে একাত্ম হয়ে অন্য দলগুলোও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে।

এরই মধ্যে বিএনপির ৩০ ডিসেম্বরের গণমিছিলের সঙ্গে একাত্ম হয়ে একই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে অকার্যকর হওয়া জোট ২০ দলের শরিকরা। একই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ নামে ছোট কিছু দলের জোটও। এই জোটে বামপন্থি তিনটি দল—আ স ম আবদুর রবের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, জোনায়েদ সাকির গণসংহতি আন্দোলন এবং সাইফুল হকের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিও আছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজাকারের দোসর, খুনি, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা ও গ্রেনেড হামলার দণ্ডিত আসামি, এতিমের অর্থ আত্মসাতের দণ্ডিত আসামিদের সঙ্গে বামরা কীভাবে মিলে যায়?’

‘বিএনপি-জামায়াত জোটের সঙ্গে আরও কিছু পার্টি দাঁড়াল। বাম, অতি বাম, তীব্র বাম, স্বল্প বাম, সব এক হয়ে গেল। যারা এত বড় বড় কথা বলেন, এত বড় তাত্ত্বিক, তারা ওদের সঙ্গে এক হয়ে যায় কীভাবে? ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, এতিমের টাকা আত্মসাতের দায়ে দণ্ডিতদের নেতৃত্ব কীভাবে মেনে নেয়! বিচিত্র সেলুকাস এদেশ!’

পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা এ দেশ স্বাধীন হোক কখনোই চায়নি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সেজন্যই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, যাতে স্বাধীনতা অর্থহীন হয়ে পড়ে। এর ধারাবাহিকতায় বারবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে বাধা দেয়া হয়েছে। কখনো ভোট কারচুপি করে কখনো চক্রান্ত করে।’

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘সেনাবাহিনীতে কিছু বেইমান-মোনাফেক ছিল, যারা আমাদের বাসায় আসা যাওয়া করতো। আমার মায়ের হাতে কত খাবার খেয়েছে, বাবা তাদের সন্তানের মত ভালোবাসতেন! সেই তারাই তাকে হত্যা করলো।’

‘কিন্তু তারপর যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা এদেশকে কী দিয়েছে? পঁচাত্তরের পর এদেশের মানুষ শোষণের শিকার হয়েছে। ২১ বছর এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত এদেশের মানুষ কী পেয়েছে? শোষণ বঞ্চনা আর নিদারুণ কষ্ট’, যোগ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাজাহান খান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।

বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ