বিএনএ, ঢাকা : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, নতুন প্রজন্মের শিশুদের মাঝে শিশু শেখ রাসেলের আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে, অভিভাবক ও শিক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের উদ্যোগে ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২২’ উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, শিশু মেলা ও সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার আজ এ সব কথা বলেন। এ সময় তিনি বিজয়ী শিশুদের মাঝে ভার্চুয়ালি পুরস্কার বিতরণ করেন।
স্পিকার বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত আদরের ছোট ভাই শিশু শেখ রাসেলকে মাত্র ১০বছর বয়সে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে হত্যা করা হয়। মায়ের কাছে নিয়ে যাবো বলে সেদিন শিশু রাসেলকে হত্যা করা হয়। আজ শিশু রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন। সে বেঁচে থাকলে আজ নিজেকে দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত করতো। নতুন প্রজন্মের শিশুদের মাঝে শেখ রাসেলের আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে।’
স্পিকার বলেন, শিশু রাসেল খুবই চঞ্চল ছিল। পড়ালেখা, সাইকেল চালানো, খেলাধুলা নিয়ে সে মেতে থাকতো। সে ছিল সকলের চোখের মণি। শেখ রাসেল ছিল বন্ধুবৎসল, গরিবদের জন্য ছিল তার অপার ভালবাসা।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে শিশুদের কল্যাণে শিশু আইন প্রণয়ন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় শিশুনীতি, শিশুশ্রম নিরসন নীতিসহ বহু কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছেন। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে অধিবেশন দেখার জন্য শিশু গ্যালারি রয়েছে। আজ শিশু রাসেলের জন্মদিনে কোন শিশু যেন নির্যাতন, সন্ত্রাস ও নৃশংসতার শিকার না হয় এবং সুষ্ঠু, নিরাপদ পরিবেশে যেন তারা বেড়ে উঠতে পারে সে উদ্দেশে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান স্পিকার।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, শিশুরা দেশ ও জাতির সম্পদ। শিশুদের ভালবাসতে হবে। তাদের কথা ধৈর্য্য সহকারে শুনতে হবে। তাদের কথা বলার সুযোগ দিতে হবে। বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের প্রয়োজনের প্রতি দৃষ্টি দিতে হবে। শ্রমে নিয়োজিত, দারিদ্র্য জর্জরিত শিশুদের কল্যাণে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসতে হবে।
সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু ও চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক, হুইপ ইকবালুর রহিম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি শাহজাহান খান, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম তাজুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, ফখরুল ইমাম ও আরমা দত্ত উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।