20 C
আবহাওয়া
৪:৩৮ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » স্কটল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশের লজ্জার হার

স্কটল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশের লজ্জার হার

স্কটল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশের লজ্জার হার

বিএনএ ক্রীড়া ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরে গেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের একদিন আগে স্কটল্যান্ডের দেয়া হুঙ্কার যে নিছক কথার কথা ছিল না, সেটি মাঠের লড়াইয়ে প্রমাণ করেছে তারা।

রোববার (১৭ আগস্ট) বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বাংলাদেশকে ৬ রানে হারিয়ে দিয়েছে স্কটিশরা। ১৪০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। এ নিয়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দুই দেখায় দুবারই জয় তুলে নিল স্কটল্যান্ড।

ওমানের আল আমেরাত স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলের স্পিনাররা দুর্দান্ত বোলিং করে ৫৩ রানে তাদের ৬ উইকেট তুলে নেয়। কিন্তু পেসাররা সেভাবে সুবিধা করতে পারেননি। ওই সুযোগ নিয়ে শেষের দিকে ২৮ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৪৫ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন ক্রিস গ্রেভেস । তার ওই ইনিংসের সঙ্গে জর্জ মানসি ২৩ বলে ২৯ ও মার্ক ওয়াট ১৭ বলে ২২ রান করে দলকে ১৪০ রানের লড়াই করার মতো পুঁজি পায় স্কটল্যান্ড।

বাংলাদেশের পক্ষে স্পিনার মেহেদি ৩টি, সাকিব ও মুস্তাফিজ ২টি এবং ১টি করে উইকেট লাভ করেন সাইফউদ্দিন ও তাসকিন।

স্কটিশদের দেয়া ১৪১ রান তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং সহায়ক উইকেট ভেবে পরপর দুই উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সাজঘরে ফিরে গেছেন সৌম্য-লিটন।  প্রথম ওভারে বল বাউন্ডারি পার করে ঝড় তোলার বার্তা দিয়েছিলেন সৌম্য। তবে পরের ওভারেই ক্যাচ তুলে দিলেন তিনি। জশ ডেভিকে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে জর্জ মানসির হাতে ধরা পড়েছেন বাংলাদেশ ওপেনার। ৫ বলে ৫ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি।

সৌম্যর আগের ওভারের ওই শটের পর লেগসাইডে বাউন্ডারিতে দুইজন ফিল্ডারকে রেখেছিলেন কাইল কোয়েটজার, সৌম্য ধরা পড়লেন সে ফাঁদেই। সৌম্যর ব্যর্থতার দিনে একই বৃত্তে বন্দি হলেন লিটন কুমার দাসও।  ব্র্যাড হুইলের বলে জোরের ওপর খেলতে গিয়েছিলেন, তবে মিড-অফে ধরা পড়লেন সরাসরি। সাজঘরে ফেরার আগে  ৭ বলে ৫ রান করেছেন তিনি।

এরপরই দলের হাল ধরেছিলেন অভিজ্ঞ দুই টাইগার সদস্য সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম। তাদের ব্যাটে ভর করে চাপ সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় ছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ইনিংসের নবম ওভারে যখন রান-রেট আর চাপ বাড়ছিল ঠিক তখনই মুশফিক পরপর দুই ছক্কা হাঁকিয়ে চাপ অনেকটাই কমিয়েছিলেন। এক ওভারে ১৮ রান তোলেন তিনি।

আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত টিকলো না সাকিব-মুশফিক জুটি। ধীরগতির ব্যাটিংয়ের খোলস ছেড়ে যখন হাত খুলে খেলবেন ঠিক তখনই কাটা পড়লেন সাকিব। ২৮ বলে ২০ রান করে ফিরে গেছেন তিনি। আগের বলে রান-আউটের হাত থেকে বেঁচে যান সাকিব। তবে জীবন পেয়ে বেশিদূর এগোতে পারলেন না তিনি। ক্রিস গ্রিভসের প্রথম বলটা ছিল লং-হপ। সাকিব তুলে মারতে গিয়েছিলেন, সীমানার ওপর ডানদিকে ছোটা ক্যালাম ম্যাকলাউডের হাতে ধরা পড়েছেন।

সাকিরেবর পর সরাসরি বোল্ড হয়ে ফিরে গেলেন সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিক। ৩৬ বলে ৩৮ করে ফিরে গেছেন তিনিও।

সাকিব-মুশফিকের পর জ্বলে উঠার বার্তা দিয়ে ফিরে গেলেন আফিফও। মার্ক ওয়াটকে স্লগ করতে গিয়ে মিডউইকেটে সরাসরি ক্যাচ দিলেন তিনি। ধরা পড়লেন জশ ডেভির হাতে। ১২ বলে ১৮ রান করেছেন তিনি। আফিফের পর ব্যাট করতে নামা দলের শেষ ভরসা নুরুল হাসান সোহানও বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ধরা পড়লেন। সোহানের পর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের আউটের পর নিভু নিভু করে জ্বলা বাংলাদেশের জয়ের শেষ আশাটুকুও নিভে গেছে।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ