বিএনএ, রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটি’র উদ্যোগে নানা আয়োজনে জন্মাষ্টমী উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৮:৩০ মিনিটে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে এক শোভাযাত্রার মাধ্যমে শুরু হয় এই উদযাপন। শোভাযাত্রা শেষে সকাল ৯:৩০ মিনিটে রাবি কেন্দ্রীয় মন্দির প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় পূজা অর্চনা ও পুষ্পাঞ্জলি প্রদান।
মন্দির প্রাঙ্গনে সকাল ১০:৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। দিপু চন্দ্র রায়ের সঞ্চালনায় সভায়
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন: কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক (অব.) মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক। রাবি কেন্দ্রীয় মন্দির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক কমল কৃষ্ণ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালাম, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক বিধান চন্দ্র দাস, ছাত্র-উপদেষ্টা এম তারেক নূর এবং জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক সোমলাল দাস।
অনুষ্ঠানে আলোচকগণ জন্মাষ্টমীর গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। তাঁরা বলেন, আদিকাল থেকেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের যুদ্ধ চলে আসছে। শ্রীকৃষ্ণের জীবনচরিত আমাদেরকে সবসময় ন্যায়ের পথে চলার শিক্ষা দেয়।
বক্তারা আরও বলেন, সনাতন ধর্ম মতে অধর্ম ও দূর্জনের বিনাশ এবং ধর্ম ও সুজনের রক্ষায় শ্রীকৃষ্ণ যুগে যুগে পৃথিবীতে আগমন করেন। আমরা যদি একটি আদর্শ মেনে চলি, তাহলেই পৃথিবীতে কমে আসবে নৈরাজ্য ও অশুভর দৌরাত্ম্য। হোক সেটা ইসলাম, হিন্দু কী বৌদ্ধ। তাই বারংবার মনে হয়, ধর্মীয় শিক্ষা জাগ্রত হোক। দূরে যাক জগতের অশুভ। শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী তিথিতে এটাই হোক আদর্শ।
জন্মাষ্টমীর কর্মসূচিতে আরো ছিলো: বিকেল ৫টায় নাম সংকীত্তন এবং সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিটে সন্ধ্যা আরতি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বিএনএনিউজ/সাকিব/এইচ.এম।