ঢাকা: সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, আগস্ট শুধু শোকের মাস নয়, বিশ্বাসঘাতকতারও। এ মাসে বাঙালি জাতি হারিয়েছে সপরিবারে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধুকে। এ মাসে প্রয়াত হয়েছেন বাংলা সাহিত্যের দুই দিকপাল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। এ মাসে সংঘটিত হয়েছে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা। আবার বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর এ মাসেই তাঁর দুই কন্যাকে আশ্রয় না দিয়ে তৎকালীন বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত সানাউল হক বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আবার যে জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত করেছেন ও তার পরিবারকে টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করেছেন সেই খুনি জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে মদত দিয়ে এ মাসেই বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
বুধবার(১৭ আগস্ট) রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও জাতীয় জাদুঘর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বর্তমানে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে ও অতি মুনাফার লোভে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের অতি লোভ ও অতি মুনাফা পরিহার করে সরকারকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে ও শক্ত অবস্থান নিতে হবে। কেননা, চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষেরও অন্যতম কারণ ছিল এটি। কে এম খালিদ বলেন, আমাদের রাজনীতির মূল শক্তি হলো তৃণমূল। ওয়ান ইলেভেনের সময় তৃণমূলের শক্ত অবস্থানের কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল। তাই আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে আরো সংগঠিত ও শক্তিশালী করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রতন চন্দ্র পণ্ডিত ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।