বিএনএ, কক্সবাজার : কক্সবাজারের রামুতে পারিবারিক কলহের জেরে শাশুড়িকে হত্যার পর ৬ টুকরো করে মাটিতে পুঁতে রেখেছে পুত্রবধূ। শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটলেও রোববার দুপুরে নিহতের ছেলে বাড়ির টিউবওয়েলে পাশে নতুন খোঁড়া মাটি ও মায়ের শাড়ি দেখে লাশ শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে বিকালে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুত্রবধূ রাশেদা আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আনোয়ারুল হোসাইন।
সে অকপটে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
নিহত মমতাজ বেগম (৭০) স্থানীয় মৃত গোলাম কবিরের স্ত্রী। অভিযুক্ত রাশেদা বেগম নিহত মমতাজ বেগমের ছেলে আলমগীরের স্ত্রী। এছাড়া সে নিহতের আপন ভাতিজি।
অভিযুক্ত রাশেদা আক্তার শাশুড়ি হত্যার দায় স্বীকার করে জানান, শনিবার সন্ধ্যায় শাশুড়ি মমতাজ বেগমের সঙ্গে তর্কের একপর্যায়ে দা দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে। এরপর টুকরো টুকরো করে বস্তাবন্দি করে লাশ। পরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে পাশের টিউবওয়েলের পাশে বস্তাবন্দি করে লাশ মাটিচাপা দেয়া হয়। তার এ বক্তব্য ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে গেছে।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে রামু থানার পরিদর্শক মনজুর আলম জানান, মমতাজ বেগমের ছেলে আলমগীরের স্ত্রী রাশেদা বেগমের সঙ্গে শাশুড়ি মমতাজ বেগমের দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। সেই কলহের জের ধরেই শনিবার সন্ধ্যায় দিকে তাকে গলা কেটে হত্যা করে রাশেদা বেগম। পরে সেই লাশ ৬ টুকরো করে বাড়ির আঙিনায় বস্তায় ভরে করে গর্তে করে পুঁতে রাখে।
ঘটনাস্থলে থাকা রামু থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. মনজু বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কঙবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।