বিএনএ, ঢাকা : পাহাড়ি ঢল আর অতি ভারী বৃষ্টিতে নদনদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার আরও বিস্তৃতি ঘটেছে। সিলেটের অধিকাংশ এলাকা পানির নিচে। বন্ধ হয়ে গেছে বিমান বন্দর, রেল চলাচল।
পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন দুই জেলার প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। বলা হচ্ছে, এটি সিলেটে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা।
অতিবৃষ্টি অব্যাহত থাকায় অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য সবার পক্ষ থেকে আল্লাহর দরবারে মিনতি জানানো যেতে পারে। সেক্ষেত্রে অতিবৃষ্টি বন্ধ হতে পারে।
পবিত্র কোরআনে দুর্যোগের বিষয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান, মাল ও ফলফলাদির ক্ষতির মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। যারা, নিজেদের বিপদ-মুসিবতের সময় বলে, “নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয় আমরা আল্লাহরই দিকে প্রত্যাবর্তনকারী”, তাদের ওপরই রয়েছে তাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাত ও রহমত এবং তারাই হিদায়াতপ্রাপ্ত। (সুরা বাকারা,আয়াত : ১৫৫-১৫৭)
কখনো অতিবৃষ্টি হলে— মহানবী (সা.) বলতেন,
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা হাওয়া-লাইনা, ওয়ালা আলাইনা; আল্লাহুম্মা আলাল আ-কাম ওয়াজ জিরাব ওয়া বুতুনিল আওদিআ; ওয়া মানাবিতিস শাজার। (বুখারি, হাদিস : ১০১৪)
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের আশপাশে বৃষ্টি দিন, আমাদের ওপরে নয়। হে আল্লাহ! পাহাড়-টিলা, খাল-নালা এবং গাছ-উদ্ভিদ গজানোর স্থানগুলোতে বৃষ্টি দিন।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।