বিএনএ ডেস্ক: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ভয়াবহ দুর্ভোগে পড়েছে নিম্নাঞ্চল চরাঞ্চলের মানুষ। ধরলা, ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া দুধকুমারসহ ১৪টি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ২৫টি ইউনিয়নে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যায় প্লাবিত প্রায় শতাধিক চর।
শনিবার (১৮ জুন) কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ২৩ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, বন্যার সবকিছু ভেসে যাওয়ায় বহু পরিবার নৌকা ও বাঁশের মাচানে আশ্রয় নিয়ে দিন পার করছে। এরইমধ্যে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। নিজেদের পাশাপাশি গবাদিপশুর রাখার জায়গা ও খাবার নিয়ে বিপদে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, তাদের ঘরের ভেতরে বুক পর্যন্ত পানি। উঁচু জায়গা না থাকায় নৌকায় অবস্থান করতে হচ্ছে তাদের। চুলা জ্বালাতে না পারায় খুব কষ্টে পরিবার নিয়ে দিন পার করছেন তারা।
এদিকে পানির তোড়ে নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে দুধকুমার নদীর তীর রক্ষা বাঁধের এক’শ মিটার ভেঙে প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি গ্রাম। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্ল্যাহ আল মামুন জানান, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় নদ-নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্পিডবোট, নৌকা এবং আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
বিএনএ/ এ আর