বিএনএ, ঢাকা : আজ আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস। জাদুঘর বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছরই আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস পালন করা হয়ে থাকে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে “The Future of Museums in Rapidly changing communities” যার বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় “দ্রুত পরির্বতনশীল সমাজে জাদুঘরের ভবিষৎ।”
ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব মিউজিয়ামসের আহ্বানে ১৯৭৭ সালে প্রথম বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়। সেই থেকে প্রতিবছর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব মিউজিয়ামস (আইসিওএম)। এর সদস্য হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মোট ১৮০টি দেশের ২৮ হাজার জাদুঘর যুক্ত রয়েছে।
জানা গেছে, বাংলার গভর্নর লর্ড কারমাইকেল জনগণের চাহিদা শুনে একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করার কথা ভাবেন। কিন্তু তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ১৯১১-এর বঙ্গভঙ্গ। ১৯১২ সালের দিকে তিনি দেশের কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে সাক্ষাৎ করেন, যারা বেশ কিছু পুরনো সামগ্রীর প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলেন। প্রদর্শনীটি দেখে লর্ড কারমাইকেল মুগ্ধ হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঢাকায় একটি জাদুঘর নির্মাণ করবেন। ২ হাজার রুপি দান করেন জাদুঘরটির কাজ শুরু করার জন্য। জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করতে যে দুজন মানুষ সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছিলেন তারা হলেন, এম বনহ্যাম কারটার এবং স্যার নিকোলাস ডড বেটসন বেল।
বাংলাদেশে শতাধিক জাদুঘর আছে। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরই দেশের প্রধান জাদুঘর হিসেবে বিবেচিত। এই জাদুঘরের সংগ্রহে প্রায় এক লক্ষ নিদর্শন রযেছে এবং ৪৬ টি গ্যালারিতে ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্পকলা সংস্কৃতিগত এবং প্রাকৃতিক নিদর্শনাদি প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রতিবছর প্রায় ৫ লক্ষ দর্শক বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পরিদর্শন করে।
প্রতিবারের মতো এবারও নানা আয়োজনের মধ্যমে উদযাপিত হচ্ছে দিবসটি। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো চট্টগ্রামেও দিবসটি উদযাপন করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।/শাম্মী