ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, গণমানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী চেতনা জাগাতে মুক্তিযুদ্ধের সময় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের যে ভূমিকা ছিল, এখন তা নেই। সাংস্কৃতিক কর্মীরা এখন আর মানুষের মনে আগের মতো সেই আবেগ-আবেদন জাগাতে পারছেন না। অথচ অপরদিকে সাম্প্রদায়িক শক্তি নানাভাবে শক্তিশালী হচ্ছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা যেসব অপপ্রচার চালাচ্ছে, তার উপযুক্ত জবাব দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার মতো উদ্যোগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘অতীতের চেয়ে এখন সাম্প্রদায়িক শক্তি বেশি বিস্তৃত হয়েছে। নারীদের ওপর আক্রমণ ও ধর্মকে ব্যবহার করে বিভাজন সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমাদের দুর্বলতার কারণেই তারা মাথাচাড়া দিচ্ছে।’
মন্ত্রী শনিবার (১৮ মে) ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ৮ম জাতীয় সম্মেলনের অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি নানাভাবে শক্তিশালী হচ্ছে। গণতন্ত্রের কথা বলে এই অপশক্তিকে রাজনৈতিকভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হব । তিনি বলেন, কেবল সরকারই সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতিরোধে ভূমিকা রাখবে—এই ধারণা পরিবর্তন করতে হবে। সরকার তার ভূমিকা রাখবে। তবে সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে না থেকে নাগরিক সমাজ, সংস্কৃতিকর্মী সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাস দমনে কাজ করতে হবে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহ-সভাপতি শহীদজায়া শিক্ষাবিদ শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বিশিষ্ট নাট্যজন বীর মুক্তিযোদ্ধা রামেন্দু মজুমদার, সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলাদেশ গ্ৰাম থিয়েটারের সভাপতি চলচ্চিত্র নির্মাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুস বক্তৃতা করেন।
এসজিএন/এইচমুন্নী