বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় নিয়ন্ত্রণহীন লরির চাপায় এক শিশুসহ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৮ মে) রাত ৮টার দিকে নগরীর শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসংলগ্ন বাটারফ্লাই পার্কের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন আসাদুজ্জামান সানি (২৩) এবং তার স্ত্রী তাসফিয়া (২০)। এ ছাড়া এ ঘটনায় তাসফিয়ার বোনের ছেলে নাজমুস সাকিব (৮) নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শনিবার (১৮ মে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাসফিয়ার। এ দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও তিনজন।
জানা যায়, শুক্রবার রাতে বিমানবন্দর সংলগ্ন বাটারফ্লাই পার্কের সামনে সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লরি উল্টে পুকুরে গিয়ে পড়ে। এ সময় লরির ধাক্কায় পথচারীদের মধ্যে পাঁচজন গুরুতর আহত হন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
লরির ধাক্কায় শিশু নাজমুস সাকিব সড়কের পাশে ওই পুকুরে পড়ে নিখোঁজ হয়। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তল্লাশি চালিয়ে রাত পৌনে ১২টায় তাকে পুকুর থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে বলে জানান পতেঙ্গা থানার ওসি কবিরুল ইসলাম।
আহতদের মধ্যে আসাদুজ্জামান সানিকে চমেক হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুর ১টার দিকে তার স্ত্রী তাসফিয়ার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান ওসি। দুর্ঘটনা কবলিত লরির চালকসহ অন্যরা পলাতক।
পতেঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবিরুল ইসলাম বলেন, তিন মাস আগে সানি ও তাসফিয়ার বিয়ে হয়েছে। শুক্রবার সকালে তারা পতেঙ্গার নাজিরপাড়া এলাকায় তাসফিয়ার বোন নুসরাতের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। বিকেলে নুসরাত ও তার ছেলে নাজমুস সাকিবকে নিয়ে তারা নেভালে বেড়াতে যান। সড়কের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় নিয়ন্ত্রণ হারানো এক লরির ধাক্কায় তারা চারজনসহ মোট পাঁচজন আহত হন। সাকিবকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে লরিটি পুকুরে পড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের টিম এসে লরি উদ্ধারের পর সেখানে মৃত অবস্থায় সাকিবকে পাওয়া যায়।
বিএনএনিউজ/ বিএম/হাসনা