বিএনএ ডেস্ক: প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে সবার মাঝে। ঘরে-বাইরে প্রশান্তি নেই কোথাও। কোনো কোনো জেলায় তাপমাত্রার পারদ ৪১ ডিগ্রিতে পৌঁছলেও তাপ অনুভূত হচ্ছে অনেক বেশি।
বাতাসের আর্দ্রতার আধিক্যে ভাপসা গরমে নাভিশ্বাস দশা। গতকাল বুধবার ছয় জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ছিল। চুয়াডাঙ্গা যেন গনগনে অগ্নিভূমি, জেলাটিতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে প্রায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস!
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক গণমাধ্যমকে বলেন, এপ্রিল মাসের বাকি সময় জুড়েই দেশে থাকবে তাপপ্রবাহ। তবে কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ওঠানামা করতে পারে।
এ মাসে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি পর্যন্ত ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে থাকে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, আগামীকাল শুক্রবার থেকে সারা দেশে তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে। আর শনিবারের পর ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে তাপমাত্রা।
তিনি আরো বলেন, এপ্রিল উষ্ণতম মাস হওয়ায় এ মাসের বাকি দিনগুলো জুড়েই সারা দেশে থাকবে দাবদাহ। আর এ সময় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। আগে এপ্রিল মে মাস পর্যন্ত তাপপ্রবাহ থাকত। তিনি বলেন, এই মৌসুম গরম-ঝড়-বৃষ্টির মৌসুম। ঝড়-বৃষ্টি হতেই থাকবে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছরে দেশের গড় তাপমাত্রা বেড়েছে এক থেকে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় গড়ে বেড়েছে প্রায় ৩ ডিগ্রির মতো। এখন তা বেড়ে জুন-জুলাই পর্যন্ত বিরাজ করে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়ার এই বৈরী আচরণ।
গত ২৯ মার্চ আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সাময়িকী ‘আরবান ক্লাইমেট’-এ প্রকাশিত ‘চেঞ্জেস ইন হিউম্যান ডিসকমফোর্ট অ্যান্ড ইটস ড্রাইভার ইন বাংলাদেশ’ গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০ বছরে বাংলাদেশে দশমিক ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে তাপমাত্রা বাড়ছে। আর আর্দ্রতা বাড়ছে দশমিক ৩ শতাংশ হারে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ