বিএনএ, ঢাকা: অবৈধভাবে খাদ্যদ্রব্য মজুদ করলে সর্বোচ্চ ৫ বছর জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন ২০২২’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আইন প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এতে খাদ্যদ্রব্যের উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণনে ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ করা যাবে। এর মাধ্যমে বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে না, বরং মান নিশ্চিত করা হবে। কেউ যাতে অনৈতিক কাজ করতে না পারে, ক্রেতারা যাতে না ঠকে সে ব্যবস্থা করা হবে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, কেউ যদি খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে অতিরিক্ত ক্ষতিকর কিছু মিশিয়ে উৎপাদন করে, নির্দিষ্ট সময়ের বেশি মজুদ করে তাহলে তিনি অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবেন। বলেন, নিরাপদ খাদ্য আদালতই এগুলো দেখবে, আলাদা কোন আদালত লাগবে না। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্টেও বিচার করতে পারবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এ আইনের আওতায় কোনো খাদ্যদ্রব্য যদি জব্দ করা হলে, সেই খাদ্য যদি পচনশীল হয় তবে তা নিলাম বিক্রি করে শুধু স্যাম্পল হিসেবে অল্প একটু রাখা যাবে। বলেন, খাদ্যপণ্য পচনশীল না হলেও ৪৫ দিনের মধ্যে নিলাম করে দিতে হবে। এই টাকাটা কোর্টের কাছে থাকবে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি যদি খালাস পান তাহলে টাকা তিনি পেয়ে যাবেন। আর দণ্ড পেলে আদালত যেভাবে আদেশ দেবে, সেভাবে হবে।
বিএনএ/ এ আর