বিএনএ ডেস্ক : খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে জ্ঞানপাপী, কু-শিক্ষিত, সমাজবিরোধী, যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী, তরুণ প্রজন্ম ধ্বংসকারী, প্রতারক ও সভ্যতা বিরোধী লোক বলে মন্তব্য করে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন আইনজীবী মো. তানভীরুল ইসলাম।
১৫ ফেব্রুয়ারি রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জাকির হোসাইনের পক্ষে এ আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন তিনি।
নোটিশে বলা হয়, সমাজকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এই সমাজের হাজার বছরের ঐতিহ্য, কৃষ্টি কালচার ও সভ্যতাকে কলঙ্কিত করে বয়সের বড় ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও, বিয়ে-শাদী করে একসঙ্গে বিয়ের পূর্বের অসামাজিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন কনটেন্ট/ভিডিও তৈরি করছেন এবং বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ছাড়াও প্রিন্টিং ও ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রচার করছেন।
এতে তরুণ প্রজন্মকে অসামাজিক, নোংরা ও যৌন উত্তেজক কর্মকাণ্ডে প্রলুব্ধ করছে, যা এই দেশের ফৌজদারি আইনে অপরাধ বলে যোগ করেন তিনি।
দৃশ্যমান যেসব প্রকাশনা, ভিডিও ও সাক্ষাৎকার রয়েছে তা তুলে নিতে কিংবা ডিলিট করতে বলা হয়েছে। ডিলিট না করা হলে এবং ভবিষ্যতে মুশতাক-তিশা দম্পতির এরূপ অসামাজিক, যৌন উত্তেজক, নোংরা কনটেন্ট/ভিডিও/সাক্ষাৎকার প্রকাশ করলে সাইবার সিকিউরিটি আইন, ২০২৩ ও দেশের প্রচলিত সংশ্লিষ্ট আইনের অধীনে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ জুড়ে আলোচনায় সিনথিয়া ইসলাম তিশা এবং খন্দকার মুশতাক আহমেদ। ঢাকার মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী তিশা এবং ওই কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাকের বিয়ে নিয়ে এখন তোলপাড় সারাদেশ। অমর একুশে বইমেলায় এই দম্পতির দুটি বই প্রকাশের পরে সমালোচনা তুঙ্গে উঠেছে। অনেকেই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে কটুক্তি করলেও তিশার দাবি, তিনি কোনও প্রলোভনে নয় ভালোবেসেই বিয়ে করেছেন মুশতাককে।
এইদিকে তিশার বাবা সাইফুল ইসলামের দাবি, তাঁর মেয়েকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে। তিশা এবং মুশতাকের সম্পর্ককে ‘বিয়ে’ বলতে নারাজ তিনি। তিশাকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছে। একটি অশ্লীল ভিডিওর মাধ্যমে তাঁকে ভয় দেখিয়ে এবং ব্ল্যাকমেইল করে কাবিননামায় স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়েছে।’
তিশার বাবার অভিযোগ, তিশা যখন দশম শ্রেণির ছাত্রী তখন থেকেই মুশতাকের কুনজর ছিলো। তাই মেয়েকে কাছে পেতে নানারকম পরিকল্পনা করেন মুস্তাক। এজন্য মুশতাক তাঁর মেয়ে তনিমাকেও ব্যবহার করেন। সাইফুল বলেন, ‘মুশতাক তনিমার সঙ্গে তার মেয়ের বন্ধুত্ব করায়। পরে ছেলে ভাড়া করে তিশার বয়ফ্রেন্ড বানিয়ে অন্তত ১০-১২ জনের সঙ্গে তাঁর মেয়ের অশ্লীল ছবি তুলে। পরে সেগুলি দিয়েই তিশাকে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছে। বিয়ের কাবিননামায় স্বাক্ষী হিসাবে মোস্তাকের বাড়ির কাজের লোক স্বাক্ষর করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এজন্য ওই কলেজের প্রিন্সিপালও নিজের দায়ভার এড়াতে পারেন না বলেও দাবি করেন তিশার বাবা।
বিএনএ/ শামীমা চৌধুরী শাম্মী, ওজি/এইচমুন্নী