বিএনএ, ঢাকা: সারা দেশে নিবন্ধনহীন হাসপাতাল বন্ধের কার্যক্রম শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসানের সই করা এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সারা দেশের সব বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য, সব জেলার সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তাদের এ ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনার নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় অবস্থিত অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল/ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ব্লাড ব্যাংকের তালিকা পাঠাতে অনুরোধ করা হলো।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, সারা দেশের অনিবন্ধিত হাসপাতালের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন অনিবন্ধিত হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশনার আলোকেই দেশের নিবন্ধনহীন হাসপাতাল বন্ধ করা হচ্ছে। এটা একটা রুটিন ওয়ার্ক। ঢাকায় এখনো এই কার্যক্রম শুরু হয়নি। রোববার থেকে পরিদর্শন শুরু হবে।’
এদিকে যশোর প্রতিনিধি জানান, যশোরের ঝিকরগাছায় নিবন্ধন নবায়ন না থাকায় দুইটি ক্লিনিক ও রোগ নির্ণয়কেন্দ্র (ডায়াগনস্টিক সেন্টার) বন্ধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. রশিদুল এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। এদিকে পরিষ্কার পরিছন্নতা না থাকায় ঝিকরগাছা প্রাইভেট ক্লিনিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেএম মামুনুর রশীদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, নোংরা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং নানা অনিয়মের অভিযোগে কুমিল্লা নগরীর দুটি হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার বন্ধ করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে এ দুটি প্রতিষ্ঠানকে করা হয়েছে ১ লাখ টাকা জরিমানা। বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর সালাউদ্দিন হোটেল এলাকায় কুমিল্লা পপুলার হাসপাতাল এবং রেইসকোর্স এলাকায় কুমিল্লা স্কয়ার হসপিটালে এ অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
শেরপুর প্রতিনিধি জানান, লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ৬টি অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং চিকিৎসক না থাকায় ২টি প্রাইভেট হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা সদরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ অভিযান চালায় জেলা সিভিল সার্জন অফিস। জেলার সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য্যের নেতৃত্বে এ সময় শহরের নারায়ণপুর ও বটতলা এলাকার লাইসেন্সবিহীন জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হযরত শাহজালাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সরকার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শ্যামল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মানবসেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও মারিয়া নার্সিং হোমের লাইসেন্স না থাকায় সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া লাইসেন্স থাকলেও হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসক না থাকায় সততা হাসপাতাল ও নিরাপদ হাসপাতালকে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিএনএনিউজ/ বিএম/ হাসনা