বিএনএ: র্যাবের নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়তে পারতো। স্যাংশন দেয়ার পর মানবাধিকার ইস্যুতে অনেক উন্নতি করায় নিষেধাজ্ঞা আর বাড়ানো হয়নি। এ কথা বলেছেন আইমন্ত্রী আনিসুল হক।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আইনি পদ্ধতি আছে। আমরা সেই পদ্ধতি অনুযায়ী এগোচ্ছি। আশা করি, আইনি পদ্ধতিতে র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।
সংস্কারের কোনো সুপারিশ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সুপারিশ আসুক বা না-আসুক, র্যাবের কোনো সদস্য ব্যক্তিগতভাবে অন্যায় বা অপরাধ করলে র্যাব তদন্ত করে এবং ব্যবস্থা নেয়। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কারও একটি চলমান প্রক্রিয়া।
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু-এর সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, তিনি বলেছেন, মানবাধিকারের ক্ষেত্রে আমাদের অনেক উন্নতি হয়েছে। আমরা র্যাবের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা হয়তো দিতাম কিন্তু আমরা দেখেছি, নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরে র্যাব অনেক ভালো কাজ করেছে। আমরা বুঝি র্যাবেরও প্রয়োজনীয়তা আছে।
ডোনাল্ড লু প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশে গণতন্ত্রের উত্তরণ হোক এবং উত্তরণের পদ্ধতিগুলো ভালোভাবে ব্যবহার করা হোক।
আইনমন্ত্রী পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বলেন, যাদের নাম শোনা যাচ্ছে সবই ধারণা নির্ভর। রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হওয়ার ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের এজলাসে বিচারকের সাথে আইনজীবীদের অশালীন আচরণের বিষয়ে মন্ত্রী জানান, বিচারক ও আইনজীবীদের ঘটনা ভাই-বোনের ঝগড়ার মতোই। ঘরেও ভাই-বোনের ঝগড়া হয়। দুদিন কথা বন্ধ থাকে, তৃতীয় দিনে কথা শুরু হয়। বার এবং বেঞ্চের ভাই-বোন, পরিবারের মতোই সম্পর্ক। সেখানে এ রকম বিবাদ হতে পারে। এটা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথম হয়েছে তা নয়। এটা আদালতে হয়ে থাকে আবার মীমাংসাও হয়ে যায়। আমার আশা, এই সমস্যাটা খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হবে।
বিএনএনিউজ/এ আর