বিএনএ ডেস্ক: উত্তরের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে অনেক এলাকা। দেখা মিলছেনা সূর্যের। বেলা বাড়ার পর সূর্য হালকা উঁকি দিলেও তীব্রতা ছড়াতে পারছেনা রোদ। ফলে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এতে চরম দুর্ভোগে আছেন ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টের মধ্যে দিন অতিবাহিত করছেন তারা। হিমেল বাতাসে কাবু হয়ে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে। উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়, রংপুর দিনাজপুরে হিমেল বাতাস আর কনকনে ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে জনজীবন।
পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর আনাগোনা বেড়ে গেছে। বয়স্ক আর শিশুদের নিয়ে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসা সেবাতেও।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এ বছর মেঘের আনাগোনায় হিমেল হাওয়া প্রবেশে বাধা পাচ্ছিল। এখন মেঘমুক্ত আকাশে শীতের বাতাস স্বাভাবিক থাকায় ঠান্ডা বেড়েছে। এতে অনেক জেলায় তাপমাত্রা কমে গেছে। ফলে সেসব অঞ্চলে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে। ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
তিনি বলেন, শৈত্যপ্রবাহ বিস্তার লাভ না করার কারণ হলো, আগামি ২৩-২৪ তারিখ নাগাদ বৃষ্টিপাত হতে পারে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও পূবালী বাতাস এক হয়ে বৃষ্টি নামাবে। এই কারণেই শৈত্যপ্রবাহ অন্যান্য জেলায় ছড়াবে না। বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমে শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে বলে জানান আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবার ( ১৮ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে পঞ্চগড় ও তেঁতুলিয়ায় ৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনাজপুরে তাপমাত্রা ১০.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া, রংপুরে ১২.০, সৈয়দপুরে ১১.৬, রাজারহাটে ১১.৯, ডিমলায় ১১.৮, বদলগাছিতে ১০.০, যশোরে ১০.৬, চুয়াডাঙ্গায় ১০.৪ রাজশাহীতে ১১.০, শ্রীমঙ্গলে ১১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।
বিএনএনিউজ/আরকেসি