20 C
আবহাওয়া
৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » স্থানীয় সরকার নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে:তথ্যমন্ত্রী

স্থানীয় সরকার নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে:তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী

বিএনএ,ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন,পৌর নির্বাচনে দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে,এটি কাঙ্খিত নয়।অতীতে দেশে স্থানীয় নির্বাচনে এমন সহিংসতা সংঘটিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সোমবার(১৮ জানুয়ারি)সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন,ভারতের দিকে তাকালে দেখা যাবে— ২০১৮ সালের দেশটির পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছে।সেই তুলনায় দেশের স্থানীয় সরকার নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।কেন্দ্রে বিপুল সংখ্যাক ভোটার উপস্থিতি ছিল। কোথাও কোথাও ৬০ শতাংশের বেশি ভোটার কেন্দ্রে এসেছিল।সার্বিকভাবে ৬১ শতাংশের বেশি ভোটার ছিল। ইভিএম পদ্ধতিতেও ৫৭ শতাংশের বেশি ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে।

হাছান মাহমুদ বলেন,নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে।বিএনপি পেয়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ।আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ৪৬টি পৌরসভায় বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে।চারজন বিএনপির প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।তারমধ্যে আবার একজন বিদ্রোহী প্রার্থীও রয়েছেন।এছাড়া জাসদ, জাতীয় পার্টির একজন করে নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচনের পর বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন,জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়ে প্রথম দফার নির্বাচনে ও দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে পরাজয়ের দুর্বলতা ঢাকতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন।তাদের সাংগঠনিক যে দুর্বলতা রয়েছে সেই বাস্তবতা মেনে নিয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করলে বিএনপি লাভবান হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন,নোয়াখালীর বসুরহাট জয়ী আবদুল কাদের মির্জাকে নিয়ে গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত দেখা গেছে তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন।তার দুইজন মূল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি এবং জামায়াতের প্রার্থীর সম্মিলিত ভোটের চাইতেও কাদের মির্জা তিনগুণ বেশি ভোট পেয়েছেন।এজন্য তিনি অবশ্যই অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য।নির্বাচনের আগে কাদের মির্জা যে কথাগুলো বলেছেন,অতীতে দলের অনেকেই এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন।তিনি স্থানীয় সংগঠন নিয়ে যে প্রশ্নগুলো তুলেছেন, সে অধিকার সবারই আছে।তিনি সেই অধিকার থেকেই প্রশ্নগুলো তুলেছেন।এগুলোর সত্যতা কতটুকু, তা নিয়ে অবশ্যই দলীয় ফোরামে আলোচনা হবে।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে তিনি বলেন,দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অতীতেও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, ভবিষতেও হবে।অতীতে অনেকে বিদ্রোহী প্রার্থী জয়লাভ করলেও তাদের এবার মনোনয়ন দেয়া হয়নি।তাদের সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছে, কিন্তু তাদের দলীয় পদ ফেরত দেয়া হয়নি। ভবিষ্যতেও তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হবে।

২০ দলীয় জোটের শরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিমের ডাকে ধানমণ্ডিতে আয়োজিত দোয়া মাহফিলের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি জনগণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। দেশে আরও কিছু শক্তি ও গোষ্ঠী আছে, যারা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।দোয়া মাহফিলকেও ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নেয়া হচ্ছে।ষড়যন্ত্র করার একটি উপলক্ষ হিসেবে দোয়া মাহফিলকে বেছে নেয়া হয়েছে,যেটি  খুবই দুঃখজনক।আর এই ধরনের ষড়যন্ত্র তারা আগেও করেছে, বিভিন্ন সময় বৈঠক করেছে। এগুলো করে কোনো লাভ হবে না।

আরকে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান,বাংলাদেশে আল-কায়েদার উপস্থিতি আছে—যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্য নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।বাংলাদেশে আল-কায়েদার কোনো উপস্থিতি নেই।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অজ্ঞতাপ্রসূত যখন এই বক্তব্য দেন, সেটি খুবই দুঃখজনক। সরকারের পক্ষ থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন,আজকের বাস্তবতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেভাবে সহিংসতা দেখা দিয়েছে, ক্যাপিটলে হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছে, যেটি বাংলাদেশ কিংবা আশপাশের কোনো দেশে এভাবে পার্লামেন্টে অধিবেশন চলাকালে হামলা হয়নি।যেদিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট শপথ গ্রহণ করবেন, এফবিআই তথ্য দিয়েছে, সেদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতা ছড়াতে পারে।কাজেই বর্তমান প্রেক্ষাপটে অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশি মনোযোগী হওয়া উচিত বলে মনে করেন ড. হাছান মাহমুদ।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

 

 

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ