বিএনএ, ঢাকা : লক্ষীপুর জেলার ৪টি সংসদীয় আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় লক্ষীপুর-১ আসনটি। লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনটি জাতীয় সংসদের ২৭৪ তম আসন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি–বিএলডির সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন সেলিম। সম্প্রতি তিনি বিএনপিতে যোগদান করেছেন। জামায়াতে ইসলামী মনোনয়ন দিয়েছেন রামগঞ্জ উপজেলা আমির নাজমুল হাসান পাটোয়ারীকে। এনসিপি অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা মেটিকুলাস ডিজাইনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকার পতনের মাষ্টারমাইন্ড মাহফুজ আলম। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছে না দলটি। সেক্ষেত্রে কেমন হবে বিএনপির শাহাদাৎ হোসেন সেলিম, জামায়াতে ইসলামীর নাজমুল হাসান পাটোয়ারী ও জুলাই আন্দোলনের মাস্টার মাইন্ড মাহফুজ আলমের লড়াই।
সেই বিশ্লেষণে যাওযার আগে আসুন জেনে নেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ৪টি নির্বাচনের ফলাফল।
১৯৯১ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই আসনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৬২ হাজার ২ শত ৮১ জন। ভোট প্রদান করেন ৬০ হাজার ৯ শত ৬৩ জন। নির্বাচনে বিএনপির জিয়াউল হক জিয়া বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ২৪ হাজার ৭ শত ২৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জামায়াত ইসলামীর লুৎফর রহমান। দাড়িপাল্লা প্রতীকে তিনি পান ১১ হাজার ২ শত ৪৮ ভোট ।
১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন শুধু বর্জন করে ক্ষান্ত হয়নি, প্রতিহতও করে। নির্বাচনে বিএনপি, ফ্রিডম পার্টি এবং কিছু নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল, অখ্যাত ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এই নির্বাচনে বিএনপির নাজিম উদ্দীন আহমেদ কে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত এই সংসদের মেয়াদ ছিল মাত্র ১১ দিন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাশ হওয়ার পর এই সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
১৯৯৬ সালের ১২ই জুন সপ্তম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৯ হাজার ৪ শত ৪৫ জন। ভোট প্রদান করেন ৬৫ হাজার ৬৩ জন। নির্বাচনে বিএনপির জিয়াউল হক জিয়া বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ২৮ হাজার ৫ শত ৭৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের সফিকুল ইসলাম । নৌকা প্রতীকে তিনি পান ১৭ হাজার ২ শত ৪৪ ভোট।
২০০১ সালের পহেলা অক্টোবর অষ্টম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫ শত ৮১ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৪ হাজার ৬ শত ৬৫ জন। নির্বাচনে বিএনপির জিয়াউল হক জিয়া বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৬৮ হাজার ৯ শত ৯০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের মো: শাহজাহান । নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৩২ হাজার ৪ শত ৩৭ ভোট।
২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১ লাখ ৬১ হাজার ৮ শত ১২ জন। ভোট প্রদান করেন ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪ শত ২০ জন। নির্বাচনে বিএনপির নাজিম উদ্দীন আহমেদ বিজয়ী হন। ধানের শীষ প্রতীকে তিনি পান ৭৪ হাজার ২ শত ৭৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের মো: শাহজাহান । নৌকা প্রতীকে তিনি পান ৫৪ হাজার ৯ শত ৪৬ ভোট।
২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনের দাবিতে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেনি। নির্বাচনে তরিকত ফেডারেশনের এম এ আউয়াল বিজয়ী হন।
২০১৮ সালের ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন। নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের আনোয়ার হোসেন খান, ধানের শীষ প্রতীকে এল.ডি.পি র মোঃ শাহাদাৎ হোসেন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রফিকুল ইসলাম, আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোশারফ হোসেন, কাঠাল প্রতীকে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির আলমগীর হোসাইন, টেলিভিশন প্রতীকে ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের সিরাজ মিয়া এবং হারিকেন প্রতীকে মুসলীম লীগের রেজাউল করিম প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
কিন্তু ভোটের আগের দিন রাতে প্রশাসনের যোগসাজসে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন কেন্দ্র দখল করে নৌকা প্রতীকে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখে। কারচুপির অভিযোগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বর্জন ও ফলাফল প্রত্যাখান করে। রাতের এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আনোয়ার হোসেন খানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
২০২৪ সালের ৭ই জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি- জামায়াত ইসলামীসহ তাদের সমমনা দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেয়নি। আমি-ডামি খ্যাত এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খানকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর এর গবেষণা টিম দৈবচয়ন পদ্ধতিতে সারাদেশে জরিপ চালায়। জরিপে অংশগ্রহণকারি বেশীরভাগ ভোটার ১৯৯১ সালের পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের সপ্তম, ২০০১ সালের অষ্টম ও ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরেপক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তারই ভিত্তিতে বিএনএ নিউজ টুয়েন্টি ফোর লক্ষ্মীপুর–১ আসনে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম এই ৪টি নির্বাচনের প্রদত্ত ভোটের পরিসংখ্যানকে মানদন্ড ধরে আওয়ামী লীগ,বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত ইসলামীর সাংগঠনিক শক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে একটি কল্পানুমান উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, লক্ষ্মীপুর–১ সংসদীয় আসনে ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৩৭.৫৭% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১০.৫১%, বিএনপি ৪০.৫৬%, জাতীয় পাটি ১২.৬৭%, জামায়াত ইসলামী ১৮.৪৫% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১৭.৮১% ভোট পায়।
১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৫৯.৪৫% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৬.৫০%, বিএনপি ৪৩.৯২% জাতীয় পাটি ১৪.৩৬%, জামায়াত ইসলামী ১৩.৫৯% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ১.৬৩% ভোট পায়।
২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৬৬.৪২% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩০.৯৯%, ৪ দলীয় জোট ৬৫.৯২%, জাতীয় পাটি ২.৪৬% স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ০.৬৩% ভোট পায়।
২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদান করেন ৮২.৪৫% ভোটার। প্রদত্ত ভোটের মধ্যে ৪ দলীয় জোট ৪১.১৮%, ৪ দলীয় জোট ৫৫.৬৭%, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য ৩.১৫% ভোট পায়।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদে বিএনপি বিজয়ী হয়। অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সবগুলো আসনে বিএনপি তাদের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) এই আসনে ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট সঙ্গী লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)র তৎকালীন মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম। পরবর্তীতে তার সঙ্গে এলডিপির চেয়ারম্যান সাবেক কর্নেল ড. অলি আহমেদের সঙ্গে মতবিরোধ হয় । ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর তৎকালীন এলডিপি চেয়ারম্যান অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন মূল দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে ‘বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি’ (বিএলডিপি) নামে একটি নতুন দল গঠন করেন। নিজেই হন দলের চেয়ারম্যান।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে নিয়ে শাহাদাৎ হোসেন সেলিম তার দল বিএলডিপি বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগদান করেন। তাকে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে মনোনযন দিয়েছে বিএনপি।
জামায়াত ইসলামী এই আসনে প্রার্থী দিয়েছেন দলের রামগঞ্জ উপজেলা আমির নাজমুল হাসান পাটোয়ারীকে। এলাকার লোকজন তাকে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আনোয়ার খাঁন মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন খাঁনের দোসর হিসাবেই চিনে।
এই বিষয়টি পরিস্কার করেছেন গত পহেলা নভেম্বর প্রবাসী সাংবাদিক কানাডা থেকে প্রচারিত নাগরিক টিভির বার্তা সম্পাদক নাজমুস সাকিব। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লক্ষীপুর- ১ আসনের জামায়াত ইসলামীর প্রার্থী নাজমুল হাসান পাটোয়ারীর মুখোশ খুলে দিয়েছেন। তিনি বলেন রামগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমি গুপ্ত রাজনীতির ধারক ও বাহক। জামায়াতের রাজনীতির সাথে সম্পর্ক থাকলেও; ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের শাসনামলের সময়ে তিনি তার নিজ এলাকার ডামি ভোটের এমপি আনোয়ার হোসেন খানের নির্বাচনী প্রচারণাতে অংশ নিয়েছিলেন। তাদের দুইজনকে একসাথে চা খেয়ে হাস্যজ্বল মুখে ছবিও তুলতে দেখা যায়!
শুধু তাই নয়, আনোয়ার হোসেন খান হাসিনার অবৈধ নির্বাচনে জয়যুক্ত হলে; এই নাজমুল হাসান পাটোয়ারী এক বিশাল আকারের ফুল দিয়ে তৈরী নৌকা নিয়ে তাকে শুভেচ্ছাও জানাতে যান! মূলত আওয়ামী দোসর আনোয়ার হোসেন খানের সবুজ সংকেত পেয়েই; তিনি হাসিনার অবৈধ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নিজ এলাকাতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশও নিয়েছিলেন!
প্রসঙ্গত, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম পদত্যাগ করেছেন। তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে এখনো মুখ খুলেননি। যদিও তার ভাই এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম বলেছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ড. ইউনূস ঘোষিত জুলাই আন্দোলনের মাষ্টার মাইন্ড মাহফুজ আলম লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। তবে তিনি এনসিপি থেকে নাকি স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন তা এখনো নিশ্চিত নয়। মাহফুজ আলমের নিজস্ব কোন ভোট ব্যাংক নেই। খোদ তার বাবা আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। এই অবস্থায় মাহফুজ আলম নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হতে পারে এমনটাই মনে করেন বিএনএ নিউজের জরিপে অংশগ্রহণকারি এলাকার বেশিরভাগ ভোটার।
তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, লক্ষীপুর -১ (রামগঞ্জ) আসনটি বিএনপির দূর্গ। ১৯৯১ সালের পঞ্চম সংসদ থেকে ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত টানা বিএনপি এই আসনে রাজত্ব করেন। এক কথায় সাংগঠনিক দিক থেকে বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে বিএনপি। জামায়াত ইসলামীর সাংগঠনিক অবস্থা তেমন শক্ত নয়-যদিও ৫ই আগষ্ট পরবর্তীতে ধর্মভিত্তিক সভা- সমাবেশের মাধ্যমে দলটি সাংগঠনিক ভিত্ত শক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এখনো ভোটে জিতে আসার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারেনি।
বর্তমানে এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা পলাতক। কর্মীরা নিরব। সেক্ষেত্রে বিএনপির সঙ্গে জামায়াত ইসলামীর সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলে জাতীয় সংসদের ২৭৪ তম সংসদীয় আসন (লক্ষ্মীপুর-১) আসনটিতে বিএনপির শাহাদাৎ হোসেন সেলিম বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিএনএনিউজ/শামীমা চৌধুরী শাম্মী/এইচ.এম।
![]()
