বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতীম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলন ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে সংগঠনটির সম্মেলন ৩ ডিসেম্বর হওয়ার কথা ছিল। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে আগামী ২৯ নভেম্বর রাষ্ট্রীয় সফরে জাপান যাবেন সরকারপ্রধান। ফিরবেন ৩ ডিসেম্বর। তাই ছাত্রলীগের সম্মেলন পেছানো হচ্ছে।
এর আগে ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর দুই মাস পর ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ গঠিত হয়েছিল। দুই বছর মেয়াদি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২০ সালের মে মাসে।
ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক হন গোলাম রাব্বানী। এক বছরের মাথায় অনিয়ম ও চাঁদাবাজির অভিযোগে শোভন-রাব্বানীকে অপসারণ করা হয়।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, এক নম্বর সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে সভাপতি ও এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তবে ছাত্রলীগের বর্তমান নেতাদের ভাষ্য— সম্মেলন ও কমিটি ঘোষণার দিন হিসাবে বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ। তবে শোভন-রাব্বিনে অপসারণের থেকে হিসাব করলেও চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি এ কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়।
মেয়াদোত্তীর্ণ তিন সংগঠন ছাত্রলীগ, যুব মহিলা লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দিনক্ষণ ঠিক করে দেয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।
এর আগে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত হয়। সম্মেলন নিয়ে গত ৩১ অক্টোবর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। এছাড়াও নিজেদের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির বৈঠকও হয়েছে।
মাঝে সম্মেলনের তারিখ পাওয়া ছাত্রলীগ নতুন করে কোনো কমিটি দিতে পারবে না বলেও সিদ্ধান্ত আসে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিমের মাধ্যমে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ