বিএনএ, সাভারঃসাভারের আশুলিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চের (নিটার) আন্দোলনের মুখে আ্যডভাইজার ড. মিজানুর রহমান পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া ছয় দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান সকল দাবিই মেনে নিয়েছে প্রশাসন।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে অ্যাডভাইজর ড. মিজানুর রহমানের সাক্ষরিত পদত্যাগপত্র শিক্ষার্থীদেরকে দেখান অধ্যক্ষ ড. আব্দুল মোত্তালিব। এসময় বাকী সব দাবিও মেনে নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ঘোষণার পরপরই বিজয় মিছিল শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
সানজিদা জান্নাত নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, গতকাল থেকে আমাদের লাগাতার আন্দোলনের মুখে ড. মিজানুর রহমান লিখিতভাবে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। এখন বাকী সংকটও কেটে যাবে বলে আশা করছি।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ছয় দফা দাবিতে প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক ভবন অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা।
তারা জানান, নিটার পরিচালিত হয় একজন প্রিন্সিপাল ও ১৬ সদস্যের গভর্নিং কাউন্সিলের মাধ্যমে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষমতা থাকে প্রিন্সিপালেরই। গত বছর অক্টোবরে প্রিন্সিপাল ড. মিজানুর রহমান অবসরে যান। তবে এর আগেই তিনি নিজের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে আ্যডভাইজার (উপদেষ্টা) নামে একটি পদ সৃষ্টি করেন।
সেই পদাধিকার বলে তিনি বিদায় নিলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল নিয়ন্ত্রণ করতেন। দায়িত্বে থাকাকালেই তার বিরুদ্ধে আর্থিক ও পদায়নে নানা অভিযোগ ওঠে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়নে কোনো কাজ না করারও অভিযোগ ওঠে। এসব অনিয়মের প্রতিবাদে সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দাইয়ুন আহমেদ বলেন, ‘আমরা যথাযথ কোনো রুটিন পাইনি। ল্যাবে গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হয়, পর্যাপ্ত ল্যাব নেই। এছাড়া বিভাগগুলোতে পর্যাপ্ত শিক্ষক ও গবেষণার জন্য বরাদ্দও নেই। এসব নিয়ে আমরা বহুদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এছাড়া এতো বড়ো আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স বা কোনো চিকিৎসকও নেই। তাই আমরা এসব দাবিতে আন্দোলনে নেমেছি। এখন আমরা যার কারণে এতো সমস্যা তার পদত্যাগ চাই। কোনো ছায়া মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলতে পারে না।’
পদাধিকার বলে গর্ভনিং বডির সদস্য ও প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. আবদুল মুত্তালিব বলেন, গভর্নিং বডির সাথে আলোচনা করেই সকল দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। পদত্যাগ পত্র ইনিস্টিউটের ওয়েব সাইটেও দেয়া হবে। বিষয়গুলোর সমাধান প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মে করার জন্য একটু সময় তো লাগবেই। আশা করছি দ্রুতই সব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
বিএনএ/ ইমরান খান, ওজি