বিএনএ, ঢাকা: বঙ্গবন্ধু সবসময় নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করতেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করতেন। তিনি এ দেশে নারীদের সার্বিক উন্নয়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীনতার পর যে সংবিধান দিয়েছিলেন, সেখানে কিন্তু নারীর সমঅধিকারের কথা বলা আছে। নারী শিক্ষা অবৈতনিক করেছিলেন। নারী নেতৃত্ব যাতে গড়ে ওঠে, তার জন্য পার্লামেন্টে সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করেন।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বেলা পৌনে ১ টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে নবনির্মিত জয়িতা টাওয়ারের উদ্বোধনের পর গণভবনে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে আমরা নারী উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারিনি। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পরই সেখানে নারীর যে অধিকারের কথা ছিল সব বাতিল করে দিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের মেয়েদের ওপর বিএনপির অত্যাচার, নির্যাতন, অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছিল। আমাদের যুব মহিলা লীগের মেয়ে, আমাদের আওয়ামী লীগের মেয়েদের ওপর যে অত্যাচার তারা করেছিল, তা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। গ্রেপ্তার করা, থানায় নিয়ে আটকানো, নানাভাবে তাদের নির্যাতন করা হয়। এর প্রতিবাদ আমাদের মেয়েরা করে গেছে। আমাদের পুরুষরা যখন রাস্তায় নামতে পারেনি, তখন আমাদের যুব ও আওয়ামী লীগের নারী নেত্রীরা সাহসের সঙ্গে রাস্তায় নেমেছে। যার ফলে আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।
একজন নারীর জন্য অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া খুবই প্রয়োজন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তাহলে একজন নারী কারও কাছে মুখাপেক্ষী থাকবে না।
নারীদের বাদ দিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, নারীদের অধিকার আদায়ে সরকার কাজ করছে। কারণ তাদের বাদ দিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের নারীরা কেন পিছিয়ে থাকবে। বেগম রোকেয়াই তো প্রথম আমাদের শিক্ষা দিয়ে গেছেন। নারী শিক্ষার জন্য বেগম রোকেয়ার যে অবদান এবং তিনি স্বপ্ন দেখতেন নারীরা একদিন জজ-ব্যারিষ্টার হবেন। আজকে আমাদের নারীরা জজ-ব্যরিষ্টার হওয়া থেকে শুরু করে সব জায়গায় তাদের আপন অবস্থান করে নিয়েছেন।
বিএনএ নিউজ/এমএফ