বিএনএ ঢাকা: সরকারের মদদেই পূজা মণ্ডপে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফায়দা লুটতেই সরকার দুই সম্প্রদায়কে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রোববার (১৭ অক্টোবর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল আরও, হামলা ঠেকাতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদাসীন ছিলো। সরকারের পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক উসকানিতে দুর্গাপূজার উৎসবের মধ্যে দেশব্যাপী রক্তাক্ত ঘটনা ঘটেছে। সাম্প্রদায়িক সংঘাতের উপকরণ ছড়িয়ে সহিংস রক্তাক্ত পরিস্থিতিতে উদ্ধারকর্তার ভূমিকায় অভিনয় করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সুদৃষ্টি পেতে চায় সরকার।
তিনি বলেন, বর্তমান যুগে কিছুই ঢেকে রাখা যায় না। অবগুণ্ঠন উন্মোচিত হয়ে সত্য প্রকাশ পাবেই। গণবিরোধী নীতির কারণে সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতায় দেশে নৈরাজ্য ভয়াল রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। দেশের মানুষ এখন জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে ভীতি ও শঙ্কার মধ্যে দিনাতিপাত করছে।
চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা বিএনপির মহাসচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরঞ্জিত শক্তি প্রয়োগের কারণে জীবনহানি ও গুরুতর আহতসহ দেশের বিভিন্ন জনপদ রক্তরঞ্জিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বহীনতা এবং তাদের নির্বিকার ভূমিকার কারণেই বিভিন্ন এলাকার মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুর হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, কুমিল্লার পূজা মণ্ডপের ঘটনার জের ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল, মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর, হামলার চেষ্টাসহ নানাবিধ সংঘাত-সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষুব্ধ মানুষের ওপর লাঠিপেটা, গুলি, টিয়ারসেল ও সাউন্ডগ্রেনেড নিক্ষেপ এবং বেধড়ক গ্রেফতারসহ বর্বরোচিত আক্রমণ হয়েছে। এসব ঘটনা শুধু নির্দয় আচরণই নয়, কাপুরুষোচিত। এই অরাজকতা সৃষ্টিকারীরা বাংলাদেশের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুমহান ঐতিহ্যকে ম্লান করেছে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা এবং তাদের উপসনালয় ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এছাড়া, বানোয়াট ফোনালাপের মাধ্যমে সরকার কুমিল্লার ঘটনায় বিএনপি নেতাদের জড়ানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। পাশাপাশি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানান তিনি।
বিএনএনিউজ/আরকেসি