বিএনএ, চট্টগ্রাম : ইসকন নোয়াখালি মন্দিরে নৃশংসভাবে পুরোহিত হত্যাসহ কুমিল্লা, চাঁদপুর, লামা, নোয়াখালী, ফেনী, পেকুয়া, বাঁশখালী চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবালয়, মন্দির, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, লুটপাট ও ধর্ষণসহ দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে ইসকন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার(১৭ অক্টোবর) বিকালে নগরীর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম ইসকন বিভাগীয় সম্পাদক শ্রীপাদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দশ হাজার সনাতনী ভক্তবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
সভায় বক্তারা বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ হচ্ছে না। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে বর্তমান পর্যন্ত কোনো সাম্প্রদায়িক হামলার বিচার আশার মুখ দেখেনি। দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত সনাতনী মঠ-মন্দির সমূহ সরকারী অর্থায়নে পুনর্নির্মাণ করতে হবে এবং নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে নীরবতা পালনকারী প্রশাসনিক ব্যক্তিদের প্রত্যাহার করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, সকল রাজনৈতিক সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়তে জাতীয় ঐক্য গঠন করতে হবে। আর এই দায়িত্ব নিতে হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সুযোগ্য উত্তরসূরী মানববতার নেত্রী শেখ হাসিনাকে। সেই সাথে দেশের সকল প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ, সংস্কৃতিকর্মীকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ এই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর কাছে শুধু হিন্দু নয় কোনো মানুষই নিরাপদ না।
ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্য স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারী ও সাংবাদিক বিপ্লব পার্থের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ পালিত, শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার, ইসকন প্রবর্তকের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌরদাস ব্রহ্মচারী, মহানগর পূজা কমিটির সভাপতি আশীষ ভট্টাচার্য,সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল, বাগীশিকের প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তপন কান্তি দাশ,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সনাতন ধর্ম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সজীব কুমার ঘোষ, ইসকন নন্দনকানন মন্দির অধ্যক্ষ পন্ডিত গদাধর দাস ব্রহ্মচারী,সাধারণ সম্পাদক তারণনিত্যানন্দ দাস ব্রহ্মচারী, শ্রী শ্রী কৈবল্যধামের ট্রাস্টি অজয় মিত্র সম্ভু, রমনা কালী মন্দিরের প্রধান উপদেষ্টা মিলন শর্মা, গোসাইলডাঙ্গা সৎসঙ্গ কেন্দ্রের প্রচার সম্পাদক ধনঞ্জয় দে, ইসকন মোহরা মন্দির অধ্যক্ষ সর্বমঙ্গল গৌরদাস ব্রহ্মচারী, মতিলাল স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক দেবাশীষ আচার্য, জাগো হিন্দু পরিষদের সভাপতি রুবেল কান্তি দে, সমাজ সংগঠক সুমন চৌধুরী,বাগিশীকের সাধারণ সম্পাদক ডা.অঞ্জন দাশ, তরুণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট শুভাশীষ শর্মা, কাঞ্চন আর্চায্য, চট্টগ্রামের উদীয়মান যুব সংগঠক পিয়াল শর্মা, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের সভাপতি এডভোকেট স্বরূপ পাল প্রমুখ।
পরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল চেরাগী হয়ে আন্দরকিল্লা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
বিএনএ/ ওজি
