তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বিভিন্ন অনলাইন মার্কেট প্লেসে কাজ করে দেশের সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার ল্যাপটপ আর ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘরে বসে ইউরো-ডলারে আয় করার সুযোগ পাচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে ৬৪টি শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার, ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব। তিনি বলেন, এ বছর আরো নতুন করে ৫ হাজার শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব এবং ৩০০ স্কুল অব ফিউচার আগামী ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল জাতীয় দিবসে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল হলে প্রধান অতিথি হিসেবে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের মাসব্যাপী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন কালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপরোক্ত তথ্য প্রকাশ করেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১৩ বছরে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে দেশ অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করেছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে গত বছরের পাশাপাশি এবারের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী প্রত্যেককে এবং জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের জেলা কমিটির সংগঠকদের একটি করে ল্যাপটপ উপহার দেয়ার ঘোষণা দেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় উন্নয়ন বিকেন্দ্রীকরণের জন্য তরুণদের প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করে আত্মকর্মসংস্থান গড়ে তুলতে ৬৪টি জেলা সহ ৪৯৬টি উপজেলায় ৫৫৫টি জয় ডিজিটাল সার্ভিস অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট সেন্টার স্থাপন করা হবে। এর ফলে দেশের কোটি কোটি শিক্ষার্থী শ্রমনির্ভরতা বা বিদেশনির্ভর না হয়ে যার যার ঘরে বসে মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবেন।
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহীদ উল্যা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন, অন্যান্যের মধ্যে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের ঢাকা মহানগর উপদেষ্টা নাজমুল হক, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা তরফদার মোঃ রুহুল আমিন ও চৌধুরী নাফিস সারাফাত।
ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন রনির সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা পরিচালন করেন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক তানভীর আহমেদ লোটন।