23 C
আবহাওয়া
৯:১৪ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সুপারি নিয়ে উধাও ট্রাক, চোর চক্রের ৩ সদস্য ধরা

সুপারি নিয়ে উধাও ট্রাক, চোর চক্রের ৩ সদস্য ধরা


বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের একটি চুরি মামলার সূত্র ধরে সিলেট থেকে আন্তঃজেলা পণ্যবাহী ট্রাকের মালামাল চোর চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম কোতোয়ালী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত তিন সহযোগীসহ ৭ জন পলাতক রয়েছেন।

শনিবার (১৭ জুলাই) কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন এসব তথ্য জানিয়েছেন। এরআগে সিলেট জেলার জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট এলাকায় টানা দু’দিন অভিযান চালিয়ে শুক্রবার (১৬ জুলাই) রাতে ১৮২ বস্তা সুপারি ও তিন জনকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. ফয়সাল আহমদ (২৭), আজিজুল হক (৫২) ও লোকমান হোসেন প্রকাশ টুটুলকে (২৩)। তাদের বাড়ি সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের মাস্তিংহাটি গ্রামে। এছাড়া পালাতক আসামিরা হলেন- ট্রাকটির মালিক শেবলু মিয়া এবং চালক ভুট্টু মানিক ও তার সহকারী জাহাঙ্গীর, সিদ্দিক, শাহিন, সামছুল এবং দুলাল।

পুলিশ জানায়, পরিবহন ব্যবসায়ী আব্দুল ওহাব লিটন চট্টগ্রাম নগরীর খাতুনগঞ্জ থেকে ২০০ বস্তা সুপারি সিলেটের কাজীবাজারে পাঠানোর জন্য একটি ট্রাক ভাড়া করেন। ট্রাকটির মালিক শেবলু মিয়া এবং চালক ভুট্টু মানিক ও তার সহকারী জাহাঙ্গীর। গত ৮ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় সুপারি নিয়ে ট্রাকটি রওনা দেয় সিলেটের উদ্দেশে। পরদিন রাত ৯টায়ও ট্রাকটি গন্তব্যে না পৌঁছায় ব্যবসায়ী লিটন ট্রাকের মালিক শেবলুকে ফোন করে মোবাইল নম্বর বন্ধ পান। সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর ট্রাকটি সিলেটের কুলাউড়া থানা এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পান লিটন। কিন্তু সেখানে সুপারি ছিল না। এরপর ১১ জুলাই তিনি কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ট্রাকের সূত্র ধরে এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ সিলেটের জৈন্তাপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্য অনুযায়ী ভারতের সীমান্তবর্তী জৈন্তাপুর ও কানাইঘাটের বীরদলে দু’টি গুদামে অভিযান চালিয়ে ১৮২ বস্তা সুপারি উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন জানান, গ্রেপ্তার তিনজন শাহিন, সামছুল এবং দুলালের সহযোগী। এছাড়া পলাতক ভুট্টু মানিক (২৮), মো. শেবলু মিয়া (৪৫) ড্রাইভার জাহাঙ্গীর চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন পণ্য ট্রাকে বহন করে একটি নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থলে পৌছে দেয়ার নামে ভাড়া নেয়। গন্তব্যে পৌছালেও নির্দিষ্ট স্থানে না নিয়ে তাহাদের সহযোগী পলাতক আসামি সিদ্দিক, শাহিন, সামছুল এবং দুলালের কাছে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে দেয়। পলাতক আসামীরা এসব মালামাল ক্রয় করে তাদের গোডাউনে রাখে এবং দুয়েক দিনের মধ্যে অবৈধ পথে ভারতে পাচার করে দেয়। পলাতক আসামিরা এর আগে এই ধরনের ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় বেশ কয়েকবার হাজতবাস করেছে।

বিএনএনিউজ/মনির

Loading


শিরোনাম বিএনএ