নওগা : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ইকোট্যুরিজম উন্নয়নে কাজ করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ২৫ শতাংশ ভূমি বৃক্ষাচ্ছাদনের আওতায় আনার লক্ষ্যে দেশব্যাপী ব্যাপকভাবে গাছ লাগানো হচ্ছে। মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য জীববৈচিত্র্য রক্ষার কোনো বিকল্প নাই। তাই সবার জন্য একটা স্বাস্থ্যকর দেশ গড়তে সবাইকে গাছ লাগিয়ে তার যত্ন করতে হবে।
শনিবার(১৭ জুন ২০২৩) নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার আলতাদীঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যানের দীঘি পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন এবং দ্বিতল ডরমেটরি ভবন, স্যুভেনিরশপ এবং আরসিসি অবজারভেশন টাওয়ার এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের মাঝে চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বনমন্ত্রী বলেন, ‘আলতাদীঘি পুনঃখননের মাধ্যমে আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যানের জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ’ প্রকল্পের অধীনে দীঘিটি খনন করে গভীরতা বৃদ্ধি, পানি সংরক্ষণ করে দেশি ও অতিথি পাখির আবাসস্থল তৈরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের চলাচল সুবিধার জন্য পাড় বাঁধা ও সৌন্দর্যবর্ধক গাছ রোপণ করা হবে, যাকে ঘিরে এ অঞ্চলের প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে এবং নিয়মিতভাবে দেশি বিদেশি পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধি পাবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে রাজশাহী বরেন্দ্র অঞ্চলের পরিবেশ সুরক্ষা’ প্রকল্পের আওতায় আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যানের নিরাপত্তায় থাকা কর্মীদের জন্য ডরমেটরি ভবন, দর্শনার্থীদের জন্য স্যুভেনির শপ ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও বনের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য রাস্তা নির্মাণসহ আরো অনেক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ক্রমান্বয়ে এ প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়িত হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা লাগিয়ে জাতীয় উদ্যানে বনায়ন করে জীববৈচিত্র্য বৃদ্ধির কাজ চলমান রয়েছে। কাজগুলো বাস্তবায়নের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যান হবে একটি ইকো ট্যুরিজম এলাকা বা পরিবেশবান্ধব পর্যটন কেন্দ্র।
অনুষ্ঠানে সামাজিক বনায়নে উপকারভোগী ১৩৫ জন সদস্যের মাঝে ১ কোটি ৫৫ লাখ ২১ হাজার ৫১১ টাকা বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো: শহিদুজ্জামান সরকার, সংসদ সদস্য মোঃ ছলিম উদ্দিন তরফদার ও বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।