বিএনএ, ঢাকা: আবু নাঈম সোহাগের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। সোমবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাফুফে ভবনে জরুরি মিটিং শেষে এমন ঘোষণা দেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুস সালাম মুর্শেদী।
জরুরি সভা শেষে বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘সাধারণ সম্পাদককে ফিফা দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। পরবর্তীতে তিনি যেন এই ফেডারেশনে আর কোনো কাজ করতে না পারেন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।’
সালাম মুর্শেদী ফিফার প্রকাশ করা ৫১ পাতার প্রতিবেদন সম্পর্কে বলেন, সেখানে কিন্তু আমাদের ফিন্যান্স কমিটি নিয়ে কোনো কথা নেই। আসলে ফিফা ও এএফসি থেকে যে ফান্ড আসে, তা খাত অনুযায়ী আমরা খরচ করবো। আমরা ক্যাশ খরচ যতটা কমিয়ে আনতে পারি। এরই মধ্যে আমরা ক্যাশ পেমেন্ট থেকে অ্যাকাউন্ট পেমেন্টে চলে গেছি প্রায় ৯৮ ভাগ। সোহাগ যে কারণে নিষিদ্ধ হয়েছেন তা তদন্ত করার জন্য বাফুফের যে অডিট কমিটি আছে তার সঙ্গে আরও তিনজন যোগ করে দিয়েছি। তারা হলেন জাকির হোসেন চৌধুরী, ইলিয়াছ হোসেন, সত্যজিৎ দাশ রুপু। এর সঙ্গে থাকবেন চার সহসভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ, আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক মহিউদ্দিন মহি, ইমরুল হাসান।
এর আগে, আর্থিক অনিয়মের দায়ে ফিফা থেকে নিষিদ্ধ হন আবু নাঈম সোহাগ। দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি সোহাগকে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক জরিমানা করা হয়, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১২ লাখ টাকা। নিষিদ্ধ হওয়ার পর আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে ফিফার নিষেধাজ্ঞা ত্রুটিপূর্ণ, উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং পক্ষপাতমূলক বলে সোহাগ জানিয়েছেন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করার কথা। সোহাগের শুন্য পদ তিন দিনের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দিয়ে পূরণ করল বাফুফে।
বিএনএ/এমএফ