33 C
আবহাওয়া
৫:০২ অপরাহ্ণ - মার্চ ১৭, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » ‘কাড়ি কাড়ি-বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে জামাইকে নিয়ে আসব’!

‘কাড়ি কাড়ি-বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে জামাইকে নিয়ে আসব’!


বিএনএ ডেস্ক : ৩ খুনসহ ১৫ মামলার আসামী চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)র পুরস্কার ঘোষিত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ‘ছোট সাজ্জাদ’ গ্রেপ্তার হওয়ার পর এইভাবে ফেসবুক পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তার স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না। যা দ্রুত ভাইরাল হয়ে টক অব দ্যা কান্ট্রিতে পরিণত হয়।

YouTube player

প্রসঙ্গত, গত ৫ ডিসেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে দুই পুলিশ সদস্যসহ চারজন আহত হন। ২৮শে জানুয়ারি ফেসবুক লাইভে এসে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসিকে প্রকাশ্যে পেটানোর হুমকি দেন সাজ্জাদ।

এরপর ৩০শে জানুয়ারি তাকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করে সিএমপি। স্ত্রীসহ পালিয়ে ঢাকায় যায় ছোট সাজ্জাদ। আর দেড় মাস পর বসুন্ধরা সিটিতে ঈদ শপিং করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন।

গ্রেপ্তার সাজ্জাদ হোসেন হাটহাজারীর শিকারপুর গ্রামের সোনা মিয়া সওদাগর বাড়ির মো. জামালের ছেলে। তাকে স্থানীয়ভাবে বুড়ির নাতি সাজ্জাদ হিসেবেও চেনেন অনেকে। চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ স্ত্রীকে নিয়ে রাজধানীর বসুন্ধরা কমপ্লেক্সে ঈদ শপিংয়ে গিয়েছিলেন গত শনিবার। কিন্তু বিধিবাম। চট্টগ্রামের কিছু লোক তাকে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ দ্রুত গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। ভোর রাতে তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসে। রোরবার দুপুরে সিএমপির মিডিয়া সেন্টারে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ এই শীর্ষ সন্ত্রাসীর আমলনামা তুলে ধরেন।

সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘গত আগস্টে অক্সিজেন এলাকায় জোড়া খুন এবং পরবর্তীতে চান্দগাঁও এলাকায় প্রকাশ্যে একজনকে গুলি করে হত্যা করেছে সে। পাশাপাশি প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে চাঁদাবাজি, গার্মেন্টস এর ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধ কার্যক্রম করত। বিদেশে পালিয়ে থাকা বড় সাজ্জাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে সে চাঁদাবাজি, হত্যাকাণ্ডসহ নানা ধরনের অপরাধ কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করত।’

চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের রয়েছে বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী। এ ছাড়া ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্নাও একটি মহিলা সন্ত্রাসী বাহিনী লালন করেন। বিভিন্ন জায়গা দখলের ক্ষেত্রে তাদের ব্যবহার করা হয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বহুল আলোচিত এইট মার্ডার মামলার ফাঁসির আসামী দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী খান ২০০০ সালে একে-৪৭ রাইফেলসহ গ্রেপ্তার হন। ২০০৪ সালে জামিনে বেরিয়ে বিদেশে পালিয়ে যান। তবে চট্টগ্রামের বায়েজিদ, পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও ও হাটহাজারী এলাকায় এখনও কেউ নতুন বাড়ি নির্মাণ, ব্যবসা-বাণিজ্য, জমি বেচাকেনা করলেই ফোন আসে সাজ্জাদের। চাঁদা দিতে গড়িমসি করলে শিষ্যদের দিয়ে হামলা করেন।

দুই দশকের বেশি এভাবেই সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন সাজ্জাদ। ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মধ্যে নুরুন্নবী ম্যাক্সন ভারতে গিয়ে মারা গেছেন। ঢাকাইয়া আকবর পলাতক। সারোয়ার হোসেন ওরফে বাবলা পক্ষ ত্যাগ করে বাহিনী গড়েছেন। ফলে ছোট সাজ্জাদকে শিষ্য হিসেবে গড়ে তোলেন বড় সাজ্জাদ।

বর্তমানে নগরীর অক্সিজেন-কুয়াইশ এলাকার আধিপত্য নিয়ে লড়াই চলছে ছোট সাজ্জাদ ও বাবলার মধ্যে। এরই জেরে গতবছরের ২৯শে আগস্ট রাতে কুয়াইশ-অক্সিজেন সড়কে মো. আনিস ও মাসুদ কায়ছার নামে দুইজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পৃথক দুই মামলাতেই আসামি করা হয় সাজ্জাদকে।

একই বছরের ১৮ই সেপ্টেম্বর ৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামীর কালারপুল এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনে গিয়ে প্রকাশ্যে গুলি চালায় সাজ্জাদ। গত ২১শে অক্টোবর চান্দগাঁও থানার অদুরপাড়া এলাকায় মাইক্রোবাসে এসে দিবালোকে গুলি করে আফতাব উদ্দিন তাহসীন নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করে ছোট সাজ্জাদ আবারও আলোচনায় আসে।

শামীমা চৌধুরী শাম্মী

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ