24 C
আবহাওয়া
১০:৩৩ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২১, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » শিশুর প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা

শিশুর প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা


বিএনএ : শিশুরা হলো পৃথিবীর ফুল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সংগ্রামী জীবনে শত ব্যস্ততার মাঝেও ভাবতেন শিশুদের নিয়ে। শিশুর সান্নিধ্য তাকে দিত সব অবসাদ থেকে মুক্তি। শিশুর জন্য বঙ্গবন্ধুর দুয়ার ছিল অবাধ। তাদের সঙ্গে সময় কাটানো ও কাজ করার প্রবল আগ্রহ ছিল তার। তার একাধিক নিদর্শন তিনি রেখেছেন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, বিভিন্ন কার্যক্রমে এমন চিত্র দেখা গেছে। শিশুরাও বঙ্গবন্ধুকে আপন করে নিত।

ছোটবেলায় বঙ্গবন্ধুর ডাকনাম ছিল ‘খোকা’। আচরণে তিনি খোকাদের মতোই সহজ সরল, নিষ্পাপ ও জেদী ছিলেন। শিশুদের মতোই মানুষকে ভালোবাসতেন, সবাইকে সহজেই বিশ্বাস করতেন।

শিশুদের প্রতি তার ভালোবাসা স্মরণীয় করে রাখতে ১৯৯৭ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চকে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ ঘোষণা করা হয়।

দেশ ও জনগণের বিভিন্ন কাজে বঙ্গবন্ধু যখন গ্রামেগঞ্জে যেতেন, তখন চলার পথে শিশুদের দেখলে গাড়ি থামিয়ে তাদের সঙ্গে গল্প করতেন। খোঁজ-খবর নিতেন। দুস্থ ও গরিব শিশুদের দেখলে কাছে টানতেন। কখনো কখনো নিজের গাড়িতে উঠিয়ে অফিসে বা নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতেন। এরপর কাপড়-চোপড়সহ নানা উপহার দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটাতেন।

ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন ভীষণ দয়ালু।  টাকার অভাবে কোনো ছেলে বইপত্র কিনতে না পারলে নিজের বইপত্র দিয়ে দিতেন। এমনকি একদিন এক ছেলেকে ছেঁড়া কাপড় পরে থাকতে দেখে নিজের পরনের কাপড় খুলে দিয়েছিলেন তিনি। এমন অসংখ্য ঘটনা রয়েছে তার জীবনে।

বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৫৬ সালের ৫ অক্টোবর দেশের ঐতিহ্যবাহী শিশু সংগঠন ‘কচি-কাঁচার মেলা’ প্রতিষ্ঠিত হয়। শিক্ষা, সংস্কৃতিচর্চা, খেলাধুলার মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক চেতনা, দেশ ও মানুষকে ভালোবাসার মানসিকতা বিকাশে শিশুরা সুনাগরিক হিসেবে বেড়ে ওঠার প্রেরণা পাচ্ছে। দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তোলার সুযোগ পাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক ক্ষমতায় আসার পর শিশুসহ দেশের সব নাগরিকের অধিকার দেওয়া হয় বাংলাদেশের সংবিধানে। শিশুর অগ্রগতির বিধান প্রণয়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় সংবিধানের ২৮(৪) অনুচ্ছেদে। রাষ্ট্রপরিচালনার নীতিতে শিশুর জন্য অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষাসহ মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা, সুযোগের সমতা, অধিকার ও কর্তব্যের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ১৯৭৩ সালে প্রথমবারের মতো প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয়করণ করা হয়। ১৯৭৪ সালের ২২ জুন ‘জাতীয় শিশু আইন’ (চিলড্রেন অ্যাক্ট) জারি করা হয়। এ আইনের মাধ্যমে শিশুদের নাম ও জাতীয়তার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। শিশুর প্রতি সব ধরনের অবহেলা, নিপীড়ন, নিষ্ঠুরতা, নির্যাতন প্রভৃতি থেকে নিরাপত্তার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘শিশু হও, শিশুর মতো হও। শিশুর মতো হাসতে শেখো। দুনিয়ার ভালোবাসা পাবে।’

বিশ্বাস করতেন, আজকের শিশুই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিশুদরদি বঙ্গবন্ধুর এই ভালোবাসার আবহ ছড়িয়ে যাক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। বন্ধ হোক শিশুশ্রমসহ শিশুর প্রতি সব ধরনের নির্যাতন, নিপীড়ন ও নিষ্ঠুরতা। শিশুর সুষ্ঠু বিকাশ ও শিক্ষা নিশ্চিতকল্পে সরকারি-বেসরকারি যাবতীয় উদ্যোগ আরও জোরদার হোক-এটাই জাতীয় শিশু দিবসের প্রত্যাশা।

বিএনএনিউজ/এইচ.এম।

Loading


শিরোনাম বিএনএ