সাতকানিয়া(চট্টগ্রাম): সাতকানিয়ার বাসিন্দা দুবাই ফেরত অসুস্থ নুরুল আমিন (৫০) বেসরকারি এনজিও সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহযোগিতায় তাঁর নিজ বাড়িতে ফিরল। গত শুক্রবার(১৫ মার্চ )সকালে ঢাকায় ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টারে নুরুল আমিনকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে ওইদিন বিকেলে তিনি বাড়ি ফেরেন। এছাড়া শনিবার (১৬ মার্চ) বেলা ১২টায় নুরুল আমিনের বাড়িতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন বিশ্বাস এক মাসের খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ উপহার দেন।
জানা যায়, দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার চরতী ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আবদুল হকের ছেলে নুরুল আমিন ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে গিয়েছিলেন। অনেকটা ধারদেনা, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তার বিদেশ যাওয়া হয়। পরে প্রবাসে আকামা জটিলতায় পড়ে সেখানে অবৈধ হয়ে যান।
নুরুল আমিনের স্ত্রী জোসনা আক্তার জানান, আকামা জটিলতায় পড়ে গত কয়েক সপ্তাহ আগে তার স্বামী দুবাইতে গ্রেপ্তার হন। এরপর সেদেশে কারাগারে গেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তার স্বামী। দুবাই সরকার তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেন। তিনি ঢাকায় আসার খবরটি প্রথমে আমরা জানতে পারিনি। পরে খবর পেয়ে ঢাকায় ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রজেক্টের সহযোগিতায় গত শুক্রবার বিকেলে তাঁর স্বামীকে নিয়ে নিজ বাড়িতে পৌঁছেন।
ঢাকা ব্র্যাক মাইগ্রেশন ওয়েল ফেয়ার সেন্টারের ম্যানেজার আল আমিন নয়ন বলেন, প্রথমে তার স্ত্রী ঢাকায় এসে তাকে নিয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানালে আমরা ব্র্যাকের মাইগ্রেশনের চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় তাঁর পরিবারকে বাড়িতে নিয়ে আসি। গত শুক্রবার সকালে প্রবাসী নুরুল আমিনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি। এছাড়া নুরুল আমিনের চিকিৎসাসহ নানান ভাবে সহযোগিতা করবে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রকল্প।
দুবাই ফেরত অসুস্থ নুরুল আমিনের পাশে দাঁড়িয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। শনিবার দুপুরে চরতী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুরুল আমিনের বাড়ি পরিদর্শন করে তার হাতে পরিবারে এক মাসের খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ উপহার দিয়েছেন জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন বিশ্বাস। এ সময় মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কো—অর্ডিনেটর নুরুল ইসলাম, সাতকানিয়া প্রেসক্লাব সভাপতি সৈয়দ মাহফুজ—উন নবী খোকন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
এসএমএনকে, এসজিএন