বিএনএ: আমদানি বন্ধ থাকায় একটি অসাধু চক্র হেপাটাইটিস বি টিকা দেশে এনে তা দিয়ে তৈরি করছে জরায়ু ক্যান্সারের নকল ভ্যাকসিন। সম্প্রতি চক্রটির পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতারের পর গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, ৬ হাজারেরও বেশি নারীকে তারা এই টিকা প্রয়োগ করেছে।
জরায়ু ক্যান্সারের ভ্যাকসিন। এটি তিন বছর ধরে আমদানি হয় না। অথচ ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ হচ্ছে দেশে। আমদানি নিষিদ্ধ হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন অবৈধ পথে দেশে এনে মজুত করে অসাধু চক্রটি। পরে তাদের কারখানায় এই ভ্যাকসিন থেকে জরায়ু ক্যান্সারের টিকা তৈরি করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এসব নকল টিকা চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল তারা।
গোয়েন্দা পুলিশ প্রায় অর্ধ কোটি টাকার নকল টিকা উদ্ধার করেছে তাদের কাছ থেকে। চক্রটির মূল হোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতারের পর কীভাবে তারা এসব নকল টিকার বাণিজ্য করছে তা জানতে পারে গোয়েন্দারা। সেইসঙ্গে ঢাকা এবং গাজীপুরে কয়েকটি প্রতিঠাষ্ঠানের নাম পেয়েছে পুলিশ, যারা এসব টিকার বাজারজাতকরণের সঙ্গে জড়িত।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের জানান, ভারত থেকে ৩৫০ টাকায় তারা নিয়ে আসছিল হেপাটাইটিস বি টিকা। একটি টিকা থেকে তারা তৈরি করে ১০টি জরায়ু ক্যান্সারের টিকা, যা বিক্রি হয় ২৫ হাজার টাকায়।
হারুন অর রশিদ জানান, গত ২ বছরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পেইন করে চক্রটি ৬ হাজারেরও বেশি নারীকে এই নকল টিকা প্রয়োগের কথা স্বীকার করেছে। ৩টি করে টিকা নিতে হয়। একটি টিকার দাম আড়াই হাজার টাকা হলে ৩টির দাম সাড়ে ৭ হাজার টাকা হয়। তার মানে তার প্রতিটি মেয়ের কাছ থেকে তারা এই টাকা নিয়েছেন।
নকল ও ভেজাল ঔষধ বিক্রি করলে দেশের আইনে কঠোর সাজার বিধান আছে। সর্বশেষ গত ৬ ফেব্রুয়ারি ওষুধ ও কসমেটিক আইন- ২০২৩ এর যে খসড়া অনুমোদন করা হয়, সেখানে নকল ও ভেজাল ওষুধের সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির কথা বলা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/এ আর