বিএনএ ডেস্ক:২২ গজে ঝড় তুললেন আফগানিস্তানের ওপেনার রহমতউল্লাহ গুরবাজ। ছক্কা বৃষ্টি ও বাউন্ডারির ফোয়ারায় জিম্বাবুয়ের বোলিং স্রেফ এলোমেলো করে দেন ডানহাতি ওপেনার। তাতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্কোরবোর্ডে বড় পুঁজি পায় আফগানিস্তান। লক্ষ্য তাড়ায় জিম্বাবুয়ে লড়াই করলেও শেষ হাসি হাসতে পারেনি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে রহমতউল্লাহর ৪৫ বলে ৮৭ রানের ইনিংসে ভর করে আফগানিস্তান ৫ উইকেটে ১৯৮ রান তোলে। জবাবে জিম্বাবুয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রানের বেশি করতে পারেনি। ৪৮ রানের জয় পায় আফগানিস্তান।
ম্যাচসেরা নির্বাচিত হওয়া রহমতউল্লাহর ইনিংসে ছিল ছক্কা বৃষ্টি। ৭টি ছয় হাঁকিয়েছেন তিনি। চার মেরেছেন ৬টি। ১৯৩.৩৩ স্ট্রাইক রেটে সাজানো ইনিংসের ৬৬ রানই রহমতউল্লাহ পেয়েছেন বাউন্ডারিতে। তার সঙ্গে ওপেনিংয়ে ৮০ রানের জুটি গড়েন করিম জানাত। যেখানে করিমের অবদান ২৬। দ্বিতীয় উইকেটে তার সঙ্গী অধিনায়ক আসগর আফগান। ৪৪ বলে ৭৪ রানের জুটিতে স্কোর বড় হয় স্বাগতিকদের।
ইনিংসে ১৫তম ওভারে রহমতউল্লাহকে থামান রায়ান বার্ল। লেগ স্পিনারকে এগিয়ে লং অন দিয়ে উড়াতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়েন ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ করা এ ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন আসগর। ৩৮ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় আফগান অধিনায়ক ইনিংসটি সাজান। পরের ব্যাটসম্যানরা শেষ দিকে ভালো করতে না পারায় আফগানিস্তানের রান দুইশ হয়নি। বল হাতে জিম্বাবুয়ের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন রিচার্ড গাভারা ও ব্লেসিং মুজারাবানি।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডারের কেউই বড় স্কোর করতে পারেনি। মধ্যভাগেও কেউ নিতে পারেনি দায়িত্ব। রশিদ খান, করিম জানাতদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বাউন্ডারি পেতে বেগ পেতে হয় জিম্বাবুয়ের। সর্বোচ্চ ৪৪ রান করা তিনাশে কামুনহুকামুয়ের ইনিংসে ছিল মাত্র ৪ বাউন্ডারি। ২২ রানের দুইটি ইনিংস এসেছে শেন উইলিয়ামস ও সিকান্দার রাজার ব্যাট থেকে। তারিসাই মুসাকান্দা ১৮ ও রিচমন্ড মুতুমবামি ১৫ রান করেন। বল হাতে রশিদ খান ২৮ রানে নেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন করিম ও ফরীদ আহমেদ।
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল আফগানিস্তান। ১৯ মার্চ একই মাঠে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল।