সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বুধবার(১৭ মার্চ) জাপানের টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ দূতাবাস প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জাপানি নাগরিক ও প্রবাসী বাংলাদেশি এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া মুজিববর্ষের ওপর নির্মিত ‘সূচনা সংগীত-তুমি বাংলার ধ্রুবতারা..’ পরিবেশন করা হয়।
রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা ও মুক্তির দূত। বঙ্গবন্ধু শুধু একক ব্যক্তিসত্তা নন, তিনি এক অনন্য প্রতিষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু হলেন সর্বজনীন, তাঁর আকাশের মতো বিশাল হৃদয় জুড়ে ছিল মানুষের প্রতি মায়া, মমতা, ও ভালোবাসা। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিশু-কিশোর, যুবকসহ সকলকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে শিশু দিবস উপলক্ষ্যে শিশুদের প্রতিনিধি হিসেবে দুইজন রাদিয়া ও রায়না বক্তব্য প্রদান করেন। পরে জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিগণ এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এসময় তাঁরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ভিশন-২০৪১’ বাস্তবায়ন করে দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের পরিবেশন করা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ভিডিও চিত্র এবং জাতির পিতার জীবন ও কর্মের ওপর বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র “আমাদের বঙ্গবন্ধু” প্রদর্শন করা হয়। এবছর মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে টোকিও দূতাবাস স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনলাইনে কুইজ ও শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা আয়োজন করে।