25 C
আবহাওয়া
১০:১৪ অপরাহ্ণ - এপ্রিল ১৭, ২০২৫
Bnanews24.com
Home » দুদক পরিচালক পদে নিয়োগ পেলেন দুর্নীতি মামলার আসামি

দুদক পরিচালক পদে নিয়োগ পেলেন দুর্নীতি মামলার আসামি

দুদক পরিচালক পদে নিয়োগ পেলেন দুর্নীতি মামলার আসামি

বিএনএ, ঢাকা: কক্সবাজার পৌরসভায় ‘পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন’ (পিবিআই)র ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণ মামলায় ২২ কোটি ২১ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলার আসামি আমিন আল পারভেজকে (আইডি নং:১৬৩৭২) দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

রোববার( ১৬ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে প্রেষণে এ পদায়নের কথা জানানো হয়। উপ-সচিব আবুল হায়াত মো: রফিক প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন।

দুদক সূত্র জানায়, কক্সবাজারে জেলা প্রশাসনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) দায়িত্ব পালনকালে পিবিআই ভবন নির্মাণ প্রকল্পের অধিগ্রহণ মামলায় (এলএ কেস) আমিন আল পারভেজ ছিলেন ৩০ নম্বর আসামি। মামলাটির তদন্ত হয় দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা)-২ এ। সংস্থার একজন উপ-সহকারী পরিচালক মামলাটি (নং-১, তারিখ : ১০.০৩/২০২০ ইং ও স্পেশাল মামলা নং ০৬/২০২০ ইং) তদন্ত করেন। তদন্তে প্রকল্পের ২২ কোটি ২১ লাখ ২৮ হাজার ৮শ’ ৩৬ টাকা ৮৩ পয়সা আত্মসাতের প্রমাণ বেরিয়ে আসে। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয় ২০২০ সালে। পাঁচ বছর হতে চললেও কোনধরনের ‘কয়েরিজ’ ছাড়া এটি ফেলে রাখা হয়েছে।

সূত্র জানায়, দুদকের দুই প্রভাবশালী মহাপরিচালকের ইঙ্গিতে মামলাটি চার্জশিট ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে।

দুদকের ২৫২ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে আমিন আল পারভেজ সম্পর্কে বলা হয়, তিনি অসদুদ্দেশ্যে প্রতারণার আশ্রয়ে পরস্পর যোগসাজশে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক অপরাধমূলক অসদাচরণের মাধ্যমে নিজে লাভবান হয়ে এবং অন্যকে অন্যায়ভাবে লাভবান করার নিমিত্তে প্রতারণাপূর্বক জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ‘মেসার্স ইলিয়াছ ব্রাদার্স’র আপত্তির প্রেক্ষিতে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্যের দায়িত্ব পালন করেছেন। আমিন আল পারভেজ ভূমি অধিগ্রহণ আইন সম্পর্কে সম্যক ধারণা সত্ত্বেও ‘চন্দ্রিমা হাউজিং’র জমিকে অধিগ্রহণের অংশ দেখিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক দালিলিক রেকর্ড ও ফিল্ডবুক অনুযায়ী নোট ফাইল এবং আদেশ ছাড়াই চেক প্রদানের বৈধতা দিয়েছেন।

তদন্তে আমিন আল পারভেজের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সনের দুই নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা রুজুর সুপারিশ করা হয়।

৩৬ কোটি টাকার প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে আত্মসাৎ ২২ কোটি টাকারও বেশি। এ ঘটনায় প্রকৃত আসামিদের বাঁচাতে প্রথম মামলা করা হয় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মোহাম্মদ ওয়াসিম খান,একই কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মো: ফেরদৌস খান,সার্ভেয়ার মো: ফরিদউদ্দিনের বিরুদ্ধে। পরে দুদকের তদন্তে বেরিয়ে আসে আমিন আল পারভেজসহ অন্তত: তিন ডজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম। এর মধ্যে এলএ কেসের তদন্ত করেন কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আমিন আল পারভেজসহ তিন কর্মকর্তা। দুদকের তদন্তে অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততাও প্রমাণিত হয়। কারণ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন দেন।

অর্থ আত্মসাৎ ও জাল-জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের করা মামলায় যেখানে অন্যান্য আসামির সঙ্গে আমিন আল পারভেজ এখন কারাগারে থাকার কথা, সেখানে তাকে করা হয়েছে দুদকের পরিচালক। ধারণা করা হচ্ছে, নিজের এ মামলাটি ‘গায়েব’ করতে পারভেজ কৌশল করে দুদকের পরিচালক পদে নিয়োগ বাগিয়ে নিয়েছেন।

বিএনএনিউজ/ আরএস

Loading


শিরোনাম বিএনএ