বিএনএ, ঢাবি: সংগঠনের ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে আসা বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি কর্তব্যরত সাংবাদিকের দিকে তেড়ে আসার অভিযোগও ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। তবে ছাত্রলীগ বলছে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরাই সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টার দিকে টিএসসি প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ছাত্র অধিকার পরিষদের অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে জানা যায়।
ছাত্র অধিকার পরিষদ সূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী আহতরা হলেন, কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, সহ-সভাপতি আখতার হোসেন, সাব্বির হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির ফয়সাল, ইউনুস, ইব্রাহিম নিরব, ফোরকান বিন হামিদ, আফতাব আহমেদসহ আরও বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ছাত্র অধিকার পরিষদ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তাদের নেতাকর্মীরা টিএসসিতে আসার কথা ছিল। খবর পেয়ে আগে থেকেকই টিএসসিতে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মুখোমুখি হলে উভয় সংগঠনের নেতার্মীরা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেয়। এক পর্যায়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের টিএসসি গেট, ডাস ও মিলন চত্বরে হামলা করে ছাত্রলীগ।
ঘটনার বিষয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আসিফ মাহমুদ বলেন, আমরা টিএসসিতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে এলে ছাত্রলীগ গেটেই আমাদের বাধা দেয়। বিদ্রুপ করে স্লোগান দিতে থাকে। আমরা চলে যেতে চাইলে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আমাদের ওপর কয়েক দফায় হামলা চালায় তারা। তিনি জানান, হামলায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সহ-সভাপতি আখতার হোসেন সহ আরও ১০/১৫ জনের বেশি আহত হয়। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই সময় কর্তব্যরত সাংবাদিকের দিকে তেড়ে আসার অভিযোগও উঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী এক সাংবাদিক বলেন, আমি দায়িত্ব পালন করতে গেলে জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের জয়েন্ট সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান ফরিদসহ কয়েকজন আমার দিকে তেড়ে আসে। তারা জিজ্ঞেস করে আমি কেন ভিডিও করছি? পরে প্রক্টরিয়াল টিম ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা এসে আমার পরিচয় দিলে তারা আমাকে ছেড়ে দেয়। তবে ঘটনাকে পুরোপুরি বিপরীতভাবে ব্যাখ্যা করেছে ছাত্রলীগ।
হামলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সিকে(বিএনএ ) বলেন, বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জয়ে একদল ক্রিড়ানুরাগী সাধারণ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দ মিছিল করে। এখানে ছাত্রলীগও থাকতে পারে। কারণ যে যে দলই করুক সবাই কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। খেলাধুলাকে ইসলামবিরোধী বলে আনন্দমিছিলে ছাত্র অধিকার পরিষদই প্রথমে হামলা করে।
সৈকত আরও বলেন, বিগত সময়েও আমরা দেখেছি খেলাধুলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এরূপ আনন্দ মিছিল করে। কিন্তু এই খেলাধুলা ইসলামে হারাম বলে তারা স্লোগান দেয়। আমরা আগেও দেখেছি সংস্কৃতিকে একটা দল সবসময় ইসলামবিরোধী বলে আসে। এবার তারা ক্রীড়াঙ্গনকেও ইসলামবিরোধী বলে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে।
বিএনএ/মোছাদ্দেক মওলা, ওজি