বিএনএ বিশ্ব ডেস্ক: মিসরের স্পেশাল ফোর্সের সাবেক কর্মকর্তা সায়েফ আল-আদেল এখন আল-কায়েদা নামের জঙ্গি সংগঠনের অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতা হিসেবে তৎপর রয়েছেন। জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে।
সায়েফ আল-আদেলকে জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় ধরিয়ে দিতে পারলে এক কোটি মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
রয়টার্স জানায়, ২০২২ সালে আল-কায়েদার সাবেক নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরি মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত তার কোনো উত্তরাধিকারীর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তবে এ জঙ্গি সংগঠনটির ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সায়েফ আল-আদেলই এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি হামলার পরিকল্পনা করেন আড়াল থেকে। আর আল-কায়েদাকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক জঙ্গি গোষ্ঠীতে পরিণত করার নেপথ্যে তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
রয়টার্স আরও জানিয়েছে, তানজানিয়া ও কেনিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে আল-কায়েদার বোমা হামলায় ২২৪ জন নিহত ও ৫ হাজারের বেশি আহত হওয়ার পর ১৯৯৮ সালের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল গ্র্যান্ড জুরি আদেলকে অভিযুক্ত করেছিল।
এফবিআইয়ের সাবেক গোয়েন্দা আলি সুফানের তৈরি প্রোফাইল থেকে জানা যায়, আরবি ‘সায়েফ আল-আদেল’ নামের অর্থ ‘ন্যায়ের তরবারি’। আর এটি আদেলের আসল নাম নয়। তার প্রকৃত নাম মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জিদান। আদেল একসময় ওসামা বিন লাদেনের প্রধান দেহরক্ষী এবং জঙ্গিদের জ্যেষ্ঠ প্রশিক্ষক ছিলেন। ১৯৮১ সালে জঙ্গি হিসেবে আদেল তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। তখন তিনি মিসরীয় প্রেসিডেন্ট আনোয়ার আল-সাদাতের হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে সন্দেহ করা হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ জানিয়েছে, আদেল এখন ইরান থেকে তার কার্যক্রম চালাচ্ছেন। আদেল বিষয়ে তথ্য দেয়ার জন্য এক কোটি ডলার পুরস্কার দেয়ার প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে মন্ত্রণালয়টি। আদেল ‘আল-কায়েদার নেতৃত্ব পরিষদ’-এর সদস্য এবং সংগঠনটির সামরিক কমিটির প্রধান হিসেবে কাজ করছেন।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ